।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত লম্বা একটি ছোট থলির মতো অঙ্গকে বলা হয় অ্যাপেন্ডিক্স। কোনো কারণে যদি এই ছোট্ট থলেতে আকস্মিক প্রদাহ দেখা দেয়, তবে সেক্ষেত্রে শুরু হতে পারে অসহনীয় ব্যথা। যা অ্যাপেন্ডিসাইটিস নামে পরিচিত। সময়মতো অস্ত্রোপচার না করা গেলে কিংবা এ রোগের সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কারণে রোগীর হতে পারে মৃত্যুও।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ীঃ-
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার ধরন
মূলত নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপর থেকে শুরু হয় অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা। কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকের অংশে ব্যথাটা স্থায়ী আকার ধারণ করে। হালকা কিংবা তীব্র দুই রকমভাবেই হতে পারে এ ব্যথা। এই সমসে থেমে থেমে ব্যথা ওঠতেও পারে। পাশাপাশি বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, জ্বর হওয়াসহ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় সতর্ক না হলে পরবর্তী সময়ে রোগীর অ্যাপেন্ডিক্সের চারদিকে বিভিন্ন উপাদান জমা হয়ে পেটে একটি চাকা বা ফোঁড়া তৈরি হতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে খাদ্যনালির ভেতরের বিভিন্ন উপাদান, পরিপাক হয়ে যাওয়া খাবারের অংশ ও মল বেরিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পেটের ভেতরে এমনকি রক্তেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গুরুত্বর এর সংক্রমণ। এ ধরণের ঘটনায় রোগীর জীবনের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। তাই যথা সময়ে এর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
চিকিৎসা পদ্ধতি
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসায় আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই আছেন যারা অস্ত্রোপচারের ভয়ে হাসপাতালে যেতে চান না আবার কেউ কেউ ব্যথা কোথায় হচ্ছে তা সঠিকভাবে বলতেও পারে না। তাই অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার না দিয়ে কিংবা নিজে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
সূত্র: প্রথম আলো।