নেপথ্যে লীলাময় বইটা রাফিদ আমাকে দিয়েছে। ওকে অনেক আগে বলেছিলাম আমি পড়ার বই ছাড়া কিছু পড়ি না। পড়ার আগ্রহও নাই। তবুও আমার জন্মদিনে বইটি দিয়ে বলেছিল আমার একজন স্যারের বই পড়ে দেখিস। উলিপুরে গল্প শুরু। বইটা এনে টেবিলে রাখি। দীর্ঘ দিন টেবিলে ঘুরতে ঘুরতে একদিন স্থান পায় আরএফএলের লাল র্যাকটায় উপরের তাকে।
বাসায় কেউ নেই। মা গতকাল গেছেন নানার বাড়ীতে। ছোট মামা অসুস্থ। বাবা ও দাদা সকালে গেছেন দোকানে। উলিপুরে আমাদের বড় একটা কাপড়ের দোকান আছে। বাবা দাদাই চালান আর একটা ছেলে নিয়ে। টিভি দেখা আর ঘুমে কেটে দিলাম দুপুর পর্যন্ত। দুপুরে গোসল করে খেয়ে আবারো টিভির সামনে বসে পরলাম। ৭২ টা চ্যানেল পাল্টালাম বেশ কয়েকবার । বাংলাদেশের চ্যানেলে ও বিজ্ঞাপন ছাড়া কিছু নেই। ভারতীয় চ্যানেলে রাতের পূনঃপ্রচার তাই কিছুই দেখতে ভালো লাগছে না। বিছানায় আবারো শুয়ে পরলাম। খুব অসস্থি লাগছে। মাকে ফোন দিলাম। কথা হলো বেশ কিছুক্ষণ। তারপর আবারো এলোমেলো ভাবনা। রাফিদকে ফোন দিলাম। রিসিভ হলো না। ও যে একটা কি? না ব্যস্থ থাকতেও পারে। থাকুক। সামনে দ্বিতীয় ইনকোর্স পরীক্ষা তাই পড়তে বসলাম। পড়তে একদম ভালো লাগছে না। কি যে করি? হঠাৎ চোখটা গিয়ে আটকে গেলো র্যাকে রাখা নেপথ্যে লীলাময় বইটির উপর। ক’দিনে বইয়ের মোলাট কেমন যেন বাজে রং ধারণ করেছে। পরিষ্কার করে পড়তে লাগলাম। যতই পড়ছি ততই ভালো লাগছে। একটা মুচির পরিবারের গল্প দিয়ে শুরু হলেও গল্প চলে বিভিন্ন ঘটনার রেশ ধরে ছড়িয়ে পরে উলিপুর থেকে ছিটকে বামনাছড়ায়। হঠাৎ রেল লাইন ধরে বহু ঘটনার মিশ্রণে ঢাকা। আবার বামনা ছড়ায় এসে শেষ হয়। মনে হয় চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সব কিছু। বইটা পড়ে শেষ করলাম। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি বাবার ফোন থেকে তিন বার, দাদার পাঁচ বার, আর রাফিদের ১৭ বার। বইএ মগ্ন থাকায় বুঝতেই পারিনি। বাবাকে প্রথম ফোন দিলাম। বাবা কেটে দিয়ে ফোন দিল। রিসিভ করলাম।
মা, ফোন দিলাম ধরলি না কেন?
বাবা, না মানে পড়ছিলাম। ফোনটা আমার কাছে ছিল না। কেন ফোন দিছিলে। ফোনে খুব দ্রুত আমার কথা বলা অভ্যাস। বাবাকে এক নিঃশেষে বলে দিলাম।
শোন, দুপুরে খেয়েছিস কিনা শুনতে ফোন দিছিলাম।
ও, খেয়েছি। তুমি আর দাদা খাইছো?
হ্যা খাওয়ার আগে তোকে ফোন দিলাম। খেয়েছি। তা ঠিক আছে। মন খারাপ করে ঘরে না থেকে বৈশাখীদের বাসা থেকে ঘুরে আসিস।
আচ্ছা, বাবা। বাবা কেটে দিলে রাফিদকে ফোন দিলাম। ধরতে সময় নিল না।
বল, সূচি
ভালো আছিস?
না
তোর আবার কি হলো?
আমার আবার কি হবে?
সরি রে, ফোন ধরতে পারিনি বলে।
সরি রে। সব শেষ?
তোর দেওয়া বইটা পড়লাম।
তো!
তো আর কি? খুব ভালো লাগল। জীবনে প্রথম পাঠ্য বই ছাড়া অন্য কোন বই পড়লাম। আচ্ছারে হায়দার বসুনিয়ার আর কোন বই আছে তোর কাছে?
হুম আছে।
দিবি?
তুই পড়বি?
অবশ্যই
আচ্ছা ঠিক আছে তোকে বসুনিয়া স্যার আর তৌহিদুর স্যারের কয়েকটা বই দিব। পড়িস। এভাবে রাফিদের সাথে আমার সম্পর্ক আরও গভির হয়। বন্ধুত্বের রেশ ধরে আমি এগিযে যাই আরও সামনে। এক সময় আমি ওকে ভালোবেসে ফেলি। বলতে পারি না। প্রথমত আমি হিন্দু ও মুসলমান। কিন্তু ওকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পারি না। সবসময় ওর কথাই মনে পরে। ওর ফোন বিজি দেখলে মেজাজ গরম হয়ে যায়। ওর মুখে মেয়ের প্রশংসা শুনলে ওর চোখ অন্ধ করতে দিতে মন চায়। কারণে অকারণে ওকে ফোন দেই কিন্তু গাধাটা তা বুঝতেই পারে না।
ফাইনাল ইয়ারের শেষ পরীক্ষা দিয়ে রাফিদকে বললাম, চল একটু ঘুরে আসি।
কোথায়?
ধরলা ব্রিজ।
তুই যাবি?
হ্যা। ও হাসিতে যেন ফেটে পরে।
আরে তোর আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। আর এই সময় ফিরতে তো রাত হবে।
হোক না আজ রাত।
দাড়াও। এক মিনিট। কে যেন ওকে ফোন দিল ও আড়ালে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে আসল।
চল।
হেঁটে যেতে পারব না।
দূর কে বলছে হেঁটে যেতে। কলেজ মোড়ে রিক্সায় চড়তে হবে। আমরা কলেজ মোড়ে রিক্সায় উঠি। ধরলা ব্রিজ এসে রিক্সা থেমে নেমে ও বলল,
চল কিছু খেতে হবে। পেটে প্রচন্ড খিদে।
আরে কি খাব এখন?
তো ভাত।
এই হোটেল গুলোয়?
তাহলে আমাদের আবারো শহরে ফিরে যেতে হবে। আর না হলে এক কাজ করা যেতে পারে চল সীমান্ত কফি হাউজে যাই। মোবাইল মার্কেটের ওখানে।
আরে না যাব না। সাধারনত বাইরে খাওয়া আমার পছন্দ না। অভ্যাসও নাই। আর যদিও খাই মিষ্টি, দই আর ফল । এদিকে কোথাও চল। হোটেলে বসে ও জিজ্ঞাস করল খাসির গোস্ত পাওয়া যায় কি না? আমি বলে দিলাম ভাত খাব না। তুই খাইলে খাইতে পারিস।
মানে তুই খাবি না আমি তোকে সামনে বসে খাব। চল তাহলে আমিও খাব না।
আরে বললাম তো আমার জন্য কেন খাবি না?
আচ্ছা ভাত না খাইস ভালো কথা অন্য কিছু খাবি।
উমম্! তুই বল কি খাওয়া যায়?
পিয়াজু, সিঙ্গারা, পুরি, ছামুসা আর……………
থাক আর বলতে হবে না। পিয়াজু আর ছামুছা।
ওকে। ফাস্ট কোন দিন আমি হোসেলে বসে এগুলো খেলাম। আসলে এসব কিছু মা অনেক সুন্দর করে বানায়। যা খেতে চাই তাই। এমন কি প্রায় প্রায় আইসক্রিমও বাসায় বানিয়ে খাওয়ায়। আমি বাইরের খাবার খাই না জন্য। খেলাম যদিও মায়ের তৈরি খাওয়ারের মতো হয় নাই তারপরও নেহাত খারাপ লাগল না।
আমরা হাটছি ধরলার বাধের উপর। সূর্য় পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে। ধরলার পানিগুলো সূর্যের লাল আভায় মনে হচ্ছে রক্তের আভা। ধরলার পানি অনেকটা নিচে নেমে গেছে। একটা জাহাজ ধরলার তীরে শুকনো যায়গায় পরে আছে অনেকটা ভাঙ্গা কুলার মতো। ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছে হুইসেল বাজিয়ে নাগেশ্বরী গামী বাস ট্রাক।
সূচি, ঐ দেখ দেখ। মেয়েটা কেমন মন খারাপ করে একা দাড়িয়ে।
তো?
তোর আর কি ওরকম একটা সুন্দরী মেয়ে একা দাড়িয়ে। হয়ত বিএফ আসে নাই। নয়তো ছেকা দিয়ে চলে গেছে। খুব সুন্দর তাই না? ভালো করে দেখতো আমার সাথে মানাবে না?
আমার চেয়েও সুন্দর!
সত্যি বলব?
বল।
তুই তো পেত্মী। যদিও পেত্মী দেখি নাই। আমি শিয়র তুই পেত্মীর মতো। হা হা হা হা। ও হাসতে থাকলে আমার চোখে জল আসে। কিছু আর না বলে মুখটা ঘুরিয়ে দাড়িয়ে গেলাম। ও চলছে তো চলছেই একবারো পিছনে ফিরে দেখল না আমি হাটছি না দাড়িয়ে আছি। নিজের উপর খুব রাগ হলো। আমি চোখ মুছে সিধান্ত নিলাম ওকে আর বলব না ভালবাসি। এরকম ছেলে হয়ত ভালো ফ্রেন্ড কিন্তু। আর ভাবতে পারছি না। ও ফিরে আসল। আমি চোখ মোছার জন্য হাতটা বাড়ালাম। ধরে ফেলল। ওর হাত দিয়ে মুছে দিল।
এই পাগলী তুই কাঁছিস কেন?
আমি কোন কথা বললাম না। চুপ মেরে দাড়িয়ে আছি।
তুই না আসলে একটা আস্ত গাধী। গাধা যেমন সারা জনম ভার বয় অন্যের নিজের সম্পর্কে জানে না। ঠিক তুইও।
তুই আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ট সুন্দরী। এটা কি বলতে হবে। তুই আয়নায় নিজেকে দেখিস না? আমি হেসে ফেললাম।
হইছে আর গ্যাস দিতে হবে। আমি হাটতে শুরু করলাম। কিন্তু হাটতে ভালো লাগছে না কেমন ক্লান্ত মনে হচ্ছে। চল কোথাও বসি।
এখানে প্রেমিক প্রেমিকা ছাড়া বসা নিষেধ।
দূর যে কেউ বসতে পারে। আর আমরা প্রেমিক প্রেমিকা হতে পারি না। হা হা হা হা
আমি বসে পরলাম। পাশে ও বসল। আমি ওর বাম হাতটা ধরলাম। ও প্রস্তুত ছিল না, বিদ্যুত শক খেল মনে হয়।
শালা, ভিতু! তোরা তো আমাকে নিয়ে খুব হাসাহাসি করিস, ভিতু বলিস। তোর হাত ধরতেই তো!
না মানে।
ওকে ছেড়ে দিলাম। বলতে ভুলে গেছি তোর পরীক্ষা কেমন হলো?
হুম খুব ভালো। তোর?
হইছে, তোর মতো ভালো ছাত্র তো আমি নই।
তাই। তুই ভালো ছাত্র হবি কি করে। তুই তো ভালো ছাত্রী। আচ্ছা তোকে একটা কথা বলব।
বল। সেই সময় ওর ফোনটা বেজে উঠল ও দাড়াতে ধরলে আমি টেনে বসালাম। ফোনটা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে লাউড দিলাম। একটা সাত আট বছর হবে এমন ছেলে বলল,
স্যার, আজ তো আপনার পরীক্ষা শেষ হলো। আসবেন কি? ও টিউশনী করে তা জানতাম। ও কিছু বলছে না জন্য আমি বললাম
মনা, তোমার স্যার আজ আসবে না। পরীক্ষা শেষ বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
আপনি কে?
তোমার স্যারের
ও বুঝেছি গার্লফ্রেন্ড। জানেন আমারো গার্লফ্রেন্ড আছে। ও খুব ভালো। আমাদের কাসে পড়ে। আমরা প্রতিদিন স্কুল টিফিনে এবং ছুটির পর অনেক গল্প করি। স্যারকে আবার এগুলো বলবেন না। আমাকে আবার আচ্ছা করে মার দিবে।
ওকে।
ওকে বাই। আপনি কিন্তু খুব ভালো।
তুমিও। কেটে দিতেই রাফিদের চোখে তাকাতেই দেখি লজ্জা পেয়েছে।
হাদারাম, নিজে তো প্রেম করলে না। দেখ তোর ছাত্র!
সূচি, সূর্য তো ডুবল আমাদের উঠা দরকার।
না এখন যাব না।
তো।
তো কি বসে থাকব? তোমার কোনো সমস্যা?
না মানে-
ওকে মিউমিউ করতে হবে না। তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
বল শুনতেছি।
তার আগে প্রমিস কর কথাগুলো রাখবি।
আগে বল।
না, আগে প্রমিস করতে হবে।
আরে বলত।
আমরা তুই থেকে তুমি হতে পারি না।
তুই থেকে তুমি? হুম এখনই বলছি। সূচি, তুমি কেমন আছো?
দেখ ফাজলামো করবি না। আমি সিরিয়াস।
আচ্ছা তুই তো তুই তুই করতেছিস। যা প্রমিস করলাম আজ থেকে তুই থেকে তুমি বলব। এইটার জন্য আবার প্রমিস করতে হয়।
না, এটার জন্য না। আরও কারণ আছে। আমি তোমাকে ভালবাসি। বিয়ে করতে চাই।
সূচি তোর কি মাথা ঠিক আছে? আমি মুসলিম তুই হিন্দু। আর তাছাড়া আমি বিবাহিত। হিন্দু মুসলিম এটা যাই হউক কিন্তু ও বিবাহিত আগে জানতাম না। এখন আমি কি করব? আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না। মাথায় যেন আকাশ যেন ভেঙ্গে পরল, ধরলার সব ঢেউ যেন তীরে আসছে। আমার মাথা ঘোরা শুরু হলো। মনে হয় পরে যাব যাচ্ছি। রাফিদ আমাকে ধরল।
সূচি এই সূচি। কষ্ট করে চোখ খুললাম। কিছু বলতে পারছি না। মাথা ঘুরছে। চোখ দিয়ে জল পরতে শুরু করল।
আরে পাগলী, ব্যাপারটা বুঝ। ইমোশন দিয়ে সব কিছু হয় না। আচ্ছা আমি তোকে মিথ্যা বলেছি। আমি বিয়ে করিনি। কিন্তু তোকে ভালোবাসা কি যায়? কে মেনে নিবে আমাদের এই ভালোবাসা?
কেউ মেনে নিবে না। আমরা পালিয়ে যাব। আগে বল আমি তোমাকে ভালবাসি। রাফিদ কিছুক্ষণ ভাবল। জানি না ও সত্যি আমাকে ভালবাসে কি না তবে ও বলল, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমাকে ও ধরে ছিলই এতক্ষণ। আমি ওর গলা জড়িয়ে ধরলাম। আবছা অন্ধকারে কেউ দেখল কি না? জানি না। ও ওর মুখটা আমার কানের কাছে নিয়ে এসে ফিসফিস করে বলল,
এখন উঠতে পারিস। না সরি। এখন উঠতে পার। কেউ দেখে ফেললে?
দেখুক না! বলে গলা ছেড়ে দিলাম। তারপর আমরা হাত ধরে ব্রিজে উঠলাম। রিক্সা নিয়ে আমরা চলে আসলাম। তালতলায় আমার মেস। একটু দূরেই ওর মেস। ও আমাকে মেসের সামনে নেমে দিয়ে চলে গেল। রাতে ১১ টা ৩০ মিনিটে পর্যন্ত ওর সাথে ফোনে কথা বলে কেটে দিলাম। ও দশটায় কলেজ মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে বলল। আমি ভাবতে লাগলাম অনেক কিছুই।
ঘুম ভাঙ্গল একটু সকালেই। দেখি রাফিদ বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে। ম্যাসেজ দিয়েছে ঠিক ১২ টায়। “শুভ জন্মদিন” আমার জন্মদিন! পরীক্ষার কারণে মনেই ছিল না। ওকে ফোন দিলাম। ও কেটে দিয়ে ম্যাসেজ করল ডাকল কলেজ মোড়। আমি দেরি না করে তারাতারি তৈরি হয়ে কলেজ মোড়ের দিকে হাটা শুরু করলাম। কলেজ মোড় আসতেই দেখি মানুষের ভির। একজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম, কে যেন জেএসএ এর ধাক্কায় পরে গেছে হাতে ফুল ছিল। মনটা কেমন করে উঠল। দৌড়ে গেলাম ভীর ঠেলে।
রাস্তায় পরে আছে রাফিদের নিথর দেহটা। ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। পাশেই পরে আছে কয়েকটা লাল-সাদা গোলাপ। আমি চোখের সামনে অন্ধকার দেখা শুরু করলাম। পৃথিবীকে শূন্য মনে হচ্ছে। কি করব ভেবে পেলাম না। মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বরে বাহির হলো, রাফিদ! রাফিদের শরীরের উপর পরে যাচ্ছি।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন মোবাইলে দেখি ১০টা। আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। মা পাশে বসে আছে। মাথায় হাত বোলাচ্ছে। বাবা ও দাদা আমার শিহরে দাড়িযে আছে। মা কে জিজ্ঞাসা করলাম, মা রাফিদ কোন বেডে? ওর এখন কি অবস্থা? মা কিছুই বলছে না। বাবা ও দাদার দিকে তাকিয়ে আবারো বললাম। বাবা ও দাদাও কিছু বলছে না। আমি কাতরভাবে বললাম, আমি রাফিদ কে একবার দেখব।
মারে রাফিদ আর নেই। চলে গেছে না ফেরার দেশে।
কি? রাফিদ আর নেই। রাফিদ আর……………।