।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
একের পর এক এত কেলেঙ্কারি, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড- সৃষ্টি করেও উলিপুরের থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা কেন বহাল তবিয়তে? এ প্রশ্ন এখন সর্বত্র, সবার মুখে মুখে।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা নিজেই দাবী করছেন তার বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয়েছে। স্থগিত আদেশের কপি ইউএনও অফিস ও ডিসি অফিসে দেওয়া আছে। তাই আমি পরিষদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে জিআর মামলা নং-৩৩২/২২, দন্ডবিধির ৪৪৭/৪৪৮/৩৫৩/৩৩২/৩৭৯ ধারায় আদালত অপরাধ আমলে নিয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, এত কেলেঙ্কারি, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম আর বিতর্কিত কর্মকা- সৃষ্টি করা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরও এখনও ইউনিয়ন পরিষদে এসে টিসিবি কার্ড নবায়নের তালিকা করে টিসিবি পণ্যের ডিলারের যোগসাজসে এক হাজারের অধিক টিসিবি পণ্য আত্মসাত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মৎস্যজীবীদের বরাদ্দের ভিজিএফ চাল জেলেদের বিতরণ না করে তার মনঃপূত কর্মীদের মাঝে ওই বরাদ্দের চাল বিতরণসহ পরিষদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের উপর কোনও ধরনের আস্থা রাখতে পারছেন না বলে মন্তব্য অনেকের।
তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্ম দিয়ে আসছেন। সেনাসদস্য ও ভূমি কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত, কলার দাম চাওয়ায় দোকানিকে মারধর, চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা, টিসিবি কার্ড নবায়নে অর্থ আদায়সহ বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত এমন কোন নথিপত্র উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা দেয়নি। এমন কি দেখতে চাইলেও চেয়ারম্যান দেখাতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বিষয়টি খোজঁ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/১৬/২৩