জরীফ উদ্দীন:
আজ ২৭ শে অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দীন আহমদের জন্মদিন।
তিনি আজ থেকে ১১৫ বছর আগে পশ্চিম বঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফান গঞ্জের বলরাম পুর (বর্তমান ভাওয়াইয়া গ্রাম) এ ১৯০১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জাফর আলী আহমদ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতের উকিল।
বলরামপুর স্কুলে আব্বাসউদ্দীনের শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ১৯১৯ সালে তুফানগঞ্জ স্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা এবং ১৯২১ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এখান থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। এমন কোনো গানের শাখা নেই যেখানে পদ চারণা নেই আব্বাস উদ্দীনের তবে তিনি গানের জগতে খ্যাত হন ভাওয়াইয়া সম্রাট হিসাবে। জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান ইত্যাদি গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
শুধু গান নয় তিনি অভিনয় করেন বিষ্ণুমায়া, মহানিশা, একটি কথা ও ঠিকাদার নামক চলচিত্রে। আব্বাস উদ্দীন রচনা করেন ‘আমার শিল্পীজীবনের কথা’। এটিই তার একমাত্র গ্রন্থ। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৬০), শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (১৯৮১) ভূষিত হন। মহান এই ব্যক্তি আমাদের সঙ্গীতাঙ্গন ছেড়ে পরলোকে গমন করেন ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি, উলিপুর কুড়িগ্রামে বিকাল৩ ঘটিকায় আজ যথাযথ মর্যাদার সহিত ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দীন আহমদের ছবিতে পুষ্প অর্পণ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পরে আলোচনা সভা ও আব্বাস উদ্দীনের গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। ভাওয়াইয়া একাডেমির পরিচালক ভূপতি ভূষণ বর্মার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সফি খান, বিশেষ অতিথি আব্বাস উদ্দীন সংগীত একাডেমি, কুড়িগ্রাম এর সভাপতি নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, মানবেন্দ্র রায়, প্রমূখ। আলোচনা শেষেএকাডেমির শিক্ষার্থীরা আব্বাস উদ্দীনের গান পরিবেশন করেন।