।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
অনেকেই হার্টের রক্তনালিতে ব্লকের মতো জটিল সমস্যায় ভুগে থাকেন। হার্টের রক্তনালিতে ব্লক এমন এক ধরণের সমস্যা যার শুরুর দিকে এর কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যথা সময়ে এ রোগের লক্ষণ ধরা না পড়লে মানুষ অনেক বিপাকে পড়ে যায়। ধূমপান করার ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা অনেক থাকে। এছাড়াও হাইপ্রেসারের রোগীদের রক্তনালিতে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বংশগত কারণেও রক্তনালি ব্লক হতে পারে ও বয়সের জন্যও হার্টের রক্তনালিতে ব্লক হয়। এর ফলে ক্রমাগত হার্টের ক্ষতি হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রোগী হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকিতে পড়ে যায়।
হার্টের রক্তনালিতে ব্লকে সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিওলজি), ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট গ্রিন লাইফ হসপিটাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা, ডা. গোলাম মোর্শেদর পরামর্শ অনুযায়ীঃ-
হার্টের রক্তনালিতে ব্লক হওয়ার লক্ষণঃ-
★ হার্টের রক্তনালিতে ব্লক হলে অতি অল্প পরিশ্রমের কোনো কাজ করলে হাঁপিয়ে ওঠা।
★ বুকের মধ্যে ব্যথা করা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
★ রক্তনালিতে ব্লক হলে রক্তনালি সরু হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
★ ব্যায়াম বা অধিক কাজ করার সময় অক্সিজেন ও খাবারের চাহিদা বেড়ে গেলে হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থাকার কারণে বুকে এক ধরণের তীব্র Chest discomfort বা বুকে চাপা ব্যথা অনুভূত হয়।
হার্টের রক্তনালিতে ব্লক হলে চিকিৎসাঃ-
হার্টের রক্তনালির ব্লক বা হার্টের ব্লক হয়ে থাকলে কোনো চিন্তা করার কারণ নেই। এর জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়মিত লাইফস্টাইল মডিফিকেশন ব্যায়াম করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হার্টের ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে। হার্টের ওষুধ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কখনো খাওয়া বাদ দেয়া যাবে না। হার্টের রক্তনালির ব্লকের প্রধান চিকিৎসা হলো স্টেন্টিং বা রক্তনালিতে রিং লাগানো। সেক্ষেত্রে হার্টের রক্তনালির ব্লকের স্থানে একটি রিং বসিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়। এছাড়াও বাইপাস সার্জারি বা ওপেন হার্ট সার্জারি করেও হার্টের রক্তনালিতে ব্লকের চিকিৎসা করে থাকে।
হার্টের রক্তনালিতে ব্লক হওয়া থেকে বাঁচতে দৈনিক ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিন নিয়ম অনুসারে ব্যায়াম করতে হবে। খাবারে তেলের পরিমাণ একেবারে কম করতে হবে। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীদের রোগ অনুযায়ী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের ঠিক করে দেওয়া কিছু ওষুধ সারা জীবন খেতে হবে। এছাড়াও হার্টকে স্বাভাবিক রাখার জন্য নিয়মিত ফলমূল, শাক-সবজি এবং মাছ বেশি করে খেতে হবে। মাছ হার্টের জন্য খুবই উপকারী। হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থেকে বাঁচতে গরু ও খাসির মাংস একেবারে কম খাওয়া উচিত।