।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনে একটু ঠান্ডার ছোঁয়া লাগতে ফ্লুর ব্যথার সংক্রমণ অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং প্রচণ্ড গলা ব্যথায় ভুগে থাকেন অনেকেই। টনসিল, নরম তালু, খাদ্যনালির ওপরের অংশ, জিহ্বার পেছনের অংশ প্রভৃতি অঙ্গ বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণে সংক্রমিত হয়। এর থেকে শুরু হতে পারে গলা ব্যথা। গলা ব্যথা হলে ঢোক গিলতে অনেক অসুবিধা হয়। এই গলা ব্যথা হয় আকস্মিক। এর সাথে পেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি খাবারের প্রতি আগ্রহও অনেকাংশে কমে যায় এবং কথা বলতে ধরলেও গলার মধ্যে ব্যথা অনুভব হয়। যা খুবই কষ্টদায়ক। শিশু-কিশোররা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা অনুসরণ করে গলা ব্যথা থেকে দ্রুত স্বস্তি মিলবে।
জেনে নেওয়া যাক গলা ব্যথা থেকে স্বস্তি মিলতে যা করবেনঃ-
মধু: গলা ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে মধুর বিকল্প নেই। নিয়মিত চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। মধু ও লেবুর রস করে কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়েও খেতে পারবেন যা গলা ব্যথা সারাতে অনেক উপকার করে। তাই গলা ব্যথা থেকে বাঁচতে মধু খাওয়া খুবই জরুরি।
গরম পানীয়: গলা ব্যথা হয়ে থাকলে মাঝে-মধ্যে হালকা করে গরম পানি করে খেয়ে নিন। গলা ব্যথায় গরম পানি খুবই উপকার করে। এই সময় শরীর অনেক দুর্বল থাকে তাই গলা ব্যথায় মসলা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন এবং গরম স্যুপ খেতে পারেন। এতে গলা ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
বিশ্রাম: গলায় ব্যথা হওয়ার ফলে গলার স্বর বসে যায়। যে কারণে জোরে কথা বলতে ধরলে গলায় আঘাত লাগে এবং ব্যথা অনুভব হয়। তাই যতটা সম্ভব শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। যেহেতু এটি সংক্রামক, তাই অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
গার্গল: গার্গল খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়। আমরা কম বেশি সবাই জানি কিভাবে লবণ পানিতে গার্গল করা যায়। গার্গল টনসিলাইটিসের সমস্যায় অনেক কাজে দেয়। ১ কাপ গরম পানিতে ১/৪ চা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল তৈরি করে খেতে পারেন। গলার ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে গার্গল খাওয়া খুবই দরকার।