।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
কখনো ভাঙন কখনো বন্যা কেড়ে নেয় চরাঞ্চলবাসীর স্বপ্ন। আবার সেই জেগে উঠা চরগুলো আশা জাগায় চরাঞ্চলবাসীর বুকে। সেই সাথে আশা, স্বপ্ন আর ভালোবাসার ছোঁয়া নিয়ে কাঁশফুলের চাদরে ঢেকেছে চিলমারী। সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে চরাঞ্চল। নদীর বুকে জেগে উঠা খণ্ড খণ্ড চরে আপন মনে বেড়ে উঠছে কাঁশফুল। সাদা তুলোর মতো মেঘের সঙ্গে কাঁশফুলের মৃদু বাতাসে ছড়ায় মুগ্ধতা। প্রতিদিন আনন্দ পেতে ছুটছে বিনোদন প্রেমীরা। কাটাচ্ছে সারাদিন কাঁশফুলের মনোরম পরিবেশে।
জানা গেছে, চিলমারীর একটি ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রতি বছর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়ে মানুষ। এর পরেও চরাঞ্চল ছাড়তে চায়না বেশিরভাগ মানুষ। বন্যা আর ভাঙনের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা মানুষগুলো বন্যার পর জেগে উঠা চরগুলোতে ফসল ফলিয়ে তোলে। দূর করে তাদের অভাব। কাঁশফুলের সন বিক্রি করে অনেকেই হয় লাভবান। চলছে এখন শরৎ, বন্যার পর জেগে উঠা চরগুলো এই সময় বিনোদন প্রেমীদের কাছে টানে। সেই সাথে চলতি মৌসুমে আনন্দ বাড়ায় কাঁশফুল। নদীর বুকে জেগে উঠা চরগুলো দূর থেকে দেখলে মনে হয় সাদা ফুলের চাদরে ঢেকে গেছে পুরো চর। সাদা ফুলে ফুলে যেন সাজিয়ে নিয়েছে নিজেদের। বাতাসে বাতাসে দুলতে দুলতে কাঁশফুলের সাদা বন ভ্রমণ পিয়াসু মানুষের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। ছড়ায় শুভ্রতা। সদ্য জেগে ওঠা চরে কাঁশফুল বাগানে প্রতিদিন শতশত বিনোদন প্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছে আর আনন্দে মেতে উঠছে।
ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমী উল্লাস, সরোয়ার ও নুসরাত জাহানসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নদীতে ঘুরতে মজাই আলাদা। এর উপর নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে কাঁশফুল মনে আনন্দ এনে দেয় এবং বারবার কাছে টানে।
এলাকার মাইদুল ও মাহফুজারসহ অনেকে বলেন, প্রতিদিন শতশত ছেলে, মেয়ে, মধ্যবয়স্কসহ বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান, কাঁশফুল দেখতে এবং ছবি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
সন ব্যবসায়ী ইউছুফ আলী বলেন, প্রতি বছর চরে শতশত একর জমিতে কাঁশফুল ফোটে এর আগে জমিগুলো বর্গা নিয়ে আমরা দেখাশুনা করি এবং সময় মতো সন গুলো বিক্রি করে লাভবান হই। এছাড়াও এই সময় বেশকিছু মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়।
বেড়াতে আসা অনেকে বলেন, নৌ-ঘাট গুলোতে নেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও চর গুলোতেও নেই কোন নিরাপত্তা। এছাড়াও নেই টয়লেট ব্যবস্থা। ফলে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমীদের বিপাকে পড়তে হয়। কতিপয় যুবকদের দল বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকেন বিনোদন প্রেমীদের। তারা আরও বলেন, নৌকা ভাড়ার নিদিষ্ট মূল্য না থাকায় যে যার মতো বেশি টাকা নিচ্ছে। বিনোদন প্রেমীরা ব্রহ্মপুত্রের ডানতীরে বিনোদন পার্ক নির্মাণের দাবি জানান।
চিলমারী মডেল থানা, বন্দর থানা ও ঢুষমারা থানা কর্তৃপক্ষ জানান, পুলিশ সবসময় জনকল্যাণসহ জন নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাফিউল আলম বলেন, নৌ-বন্দরে বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে পার্কের বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করে কাজ করলে এগিয়ে যাবে উন্নয়ন।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/অক্টেবর/০৬/২৩