।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শব্দ করে হাত-পায়ের আঙুল ফোটিয়ে থাকেন অনেকেই। ছোট-বড় সবারই কাছে যেন আঙুল ফোটানো একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকলে কিংবা কোনো কাজ করার পর হাত-পায়ের আঙুল ফোটান। অনেকের ধারণা আঙুল ফোটালে কেন শব্দ করে। চিকিৎসকরা বলেন, আমাদের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টে থাকে তরল পদার্থ। সিনোভিয়াল ফ্লুইড নামে এই তরল পদার্থে গ্যাস বাবল তৈরি হলেই আঙুল ফোটালে শব্দ হয়। তবে আঙুল ফোটানো আমাদের জন্য আসলেই ভালো নাকি ক্ষতিকর? তা না জেনেই আমরা নিয়মিত আঙুল ফোটিয়ে থাকি। চলুন জেনে নেয়া যাক আঙুল ফোটালে আমাদের কি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুল ফাটানো খুবই সাধারণ একটি বিষয়। যদিও এর সঙ্গে মানসিক বা শারীরিক কোনো সমস্যার যোগ নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানুষ নার্ভাস হলে বেশি আঙুল ফোটান। এর মাধ্যমেই নাকি তারা দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করেন! তারা আরও বলছেন, আঙুল ফোটালে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে অনেকেরই বিষয়টি অভ্যাসে পরিণত হয়। ফলে বারবার একই কাজ করতে গিয়ে ওই জয়েন্টে প্রদাহ তৈরি করে ফেলেন।
আঙুল ফোটানোর ফলে যা হয়: আমরা যখন হাত বা পায়ের আঙুল ফোটাই তখন অস্থিসন্ধিগুলোর মধ্যে দুটি ভাগের দূরত্ব কিছুটা বেড়ে যায়। যে কারণে অস্থিসন্ধিগুলোতে গ্যাস বাবল তৈরি হয়। যখন গ্যাস বাবল ফেটে যায় ঠিক তখনই আঙুল ফোটালে আওয়াজ করে। বিশেষজ্ঞরা আঙুল ফোটানোর ঘটনাকে বেলুন ফোটানোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। সাধারণত একই আঙুল পরপর দুইবার শব্দ করে না। এর কারণ হলো আপনার আঙুলের অস্থিসন্ধিতে সেই গ্যাস বাবল সাথে সাথে তৈরি হয় না। এজন্য গ্যাস বাবল তৈরি হতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।
আঙুল ফোটানো আমাদের জন্য কি ক্ষতিকর?: ক্যালোফোর্নিয়ার একজন চিকিৎসক নিজের উপরই এই বিষয়ক একটি পরীক্ষা করেছেন। তিনি সাধারণত নিজের একটি হাতের আঙুলই ফোটাতেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই আঙুল ফোটানোর কারণে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য তিনি এক্স-রে করেন। তবে তার আঙুলে তেমন কোনো সমস্যা ধরা পরেনি।
তাই নিয়মিত হাত বা পায়ের আঙুল ফোটালে তেমন কোনো ক্ষতি নেই। মানুষ যে রকম সারা দিন স্মার্টফোন টিপতে টিপতে হাতের আঙুল কড়কড়ে অনুভূতির সৃষ্টি করে তোলে, ঠিক তখনই পটাস-মটাস শব্দ করে আঙুলগুলো একটু ফুটিয়ে নিতে পারে।