জরীফ উদ্দীন:
আমাদের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক সময় ছিল অসংখ্যক মহামূল্যবান তৈজসপত্র। যা আজ দাদা-দাদীদের কাছে গল্প মাত্র। কালের পরিক্রমায় আধুনীকতার ফলে বিলুপ্ত হতে শুরু হয়েছে অনেক কিছুই। সেই সব গ্রামীণ ঢেকি, কূলা, উরুন-গাইন, খড়ম, হুকা, খলাই, ডারকি, পিরা, একতারা, দোতারা ইত্যাদি ছাড়াও মাটির ও লোহার তৈরি ব্যবহিত বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জিনিসপত্রের সংগ্রহ করতে গড়ে উঠে ভাওয়াইয়া যুবরাজ নামে খ্যাত কছিম উদ্দিনের নামে কছিম উদ্দিন লোকশিল্প সংগ্রহ শালা। আজ শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি, দুর্গাপুর এর আয়োজনে একাডেমি প্রাঙ্গণে কছিম উদ্দিন লোকশিল্প সংগ্রহশালা’এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভিত্তি প্রস্তর শুভ উদ্বোধন করেন উলিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি, উলিপুর কুড়িগ্রামের সভাপতি মোঃ এন্তাজ আলীর সভাপতিত্বে বশির উদ্দিনের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাওয়াইয়া ভাস্কর ভূপতি ভূষন বর্মা, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি তারাগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিলুফা সুলতানা, ছাড়াও লোকশিল্প সংগ্রহশালার পরিচালক সুজন রায়, কছিম উদ্দিন পরিষদ এর সভাপতি মাহাবুর রহমান মমিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনন্ত কুমার দেব, প্রমূখ
বক্তারা বলেন, এই সংগ্রহশালায় এমন কিছু আছে যা আমাদের আগামী প্রজন্ম দেখে আশ্চয্য না হয়ে পারবে না। এটাকে সমৃদ্ধশালী করতে সকলের সাহায্য কামনা করেন সংগ্রহশালার পরিচালক সুজন রায়।
আলোচনা শেষে ঘরোয়াভাবে ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করা হয়।