।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে গত পাঁচদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন। কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষজনের। বিশেষ করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় আমন আবাদ নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
অপর দিকে নদ-নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিভিন্ন নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে জেলা শহরের হাসপাতালপাড়া, ফায়ার সার্ভিস, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিসপাড়া, হাটিরপাড় ও নিমবাগান এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কুড়িগ্রম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার তথ্যমতে, জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ মি.মি। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি।
যতিনের হাটের রিকশা চালক আক্কাস আলী বলেন, কয়দিন থাকি যে হারে ঝড়ি (বৃষ্টি) হবাইছে। ঘর থাকি মানুষ বেড়বার না পাইলে ভাড়া হয় কেমন করি। এমন আর কয়দিন চললে হামরা গরীব মানুষগুলোর খুব বিপদ হইবে।
টাপু ভেলাকোপার নুরল মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি। কাজ-কাম বন্ধ। টাকার চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। রাত পোহালে কিস্তি। ঘরে বাজার-সদাই নাই। খুব দুশ্চিন্তায় পড়ছি। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষের চলাফেরা কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে যাবে।
ভোগডাঙ্গা মাধবরামের কৃষক মো. আনারুল কবির বলেন, কয়েক দফা বন্যায় আমন আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। আবারও আমান ক্ষেত রোপণ করেছি। যে হারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এভাবে বৃষ্টি পড়তে থাকলে পানিতে আমন ক্ষেত তলিয়ে যাবে। এবার আবাদ নষ্ট হলে এ মৌসুমে আর আমনের আবাদ করা যাবে না। আমরা কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, গত পাঁচদিন ধরে হালকা ও মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী আরও দু’দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।