।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
মানসিক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রোগ হলো প্যানিক অ্যাটাক। প্রচণ্ড ভয়ে শরীরের মধ্যে যে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয় সাধারণত তাকেই বলে প্যানিক অ্যাটাক। প্যানিক অ্যাটাকের কারণে মানুষের শরীরের স্নায়ুব্যবস্থা অত্যাধিক সক্রিয় হয়ে যায়। কোনো মানুষের যদি প্যানিক অ্যাটাক হয় তবে তাঁর মনে হতে থাকে যে সে মারা যাচ্ছে কিংবা তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে। আর তাই বাঁচার জন্য রোগী হাঁসফাঁস করতে শুরু করে। হুট করে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া শুরু করে, সাথে ঘাম, কাঁপুনি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে রোগীর শরীরের মধ্যে পড়ে যায় অধিক প্রভাব। প্যানিক অ্যাটাক সাধারণত ৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য স্থায়ী আকার ধারণ করে। প্যানিক অ্যাটাক শরীরের জন্য ক্ষতিকর না হলেও এটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। প্যানিক অ্যাটাক মোকাবেলা করার মতো কোনো উপায় এখনো বের হয়নি ঠিকি কিন্তু, একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলেই দ্রুত প্যানিক অ্যাটাক থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
প্যানিক অ্যাটাক নিয়ে ডা. সতিজার বলেছেন, যদি প্যানিক অ্যাটাক ঘন ঘন ঘটতে থাকে, তাহলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা এবং এর চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণগুলির তীব্রতা বাড়তে থাকলে দীর্ঘমেয়াদ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
প্যানিক অ্যাটাক হলে যা করবেন
প্যানিক অ্যাটাক একটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা, তবে এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে কেটে যাবে সে সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে বিষয়টি মানিয়ে নিতে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মানসিক শক্তি দেবে। নিঃশ্বাসের উপর লক্ষ্য করা শুরু করুন। নিঃশ্বাস নেয়ার সময় ধীরে ধীরে নাক থেকে গভীরভাবে শ্বাস নিতে শুরু করুন এবং মুখ থেকে শ্বাস বের করে দিন। মানসিক চাপ কমানোর জন্য পেশি শিথিলকরণ ব্যায়াম করা শুরু করতে হবে। যাতে প্যানিক অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণে আসে। প্যানিক অ্যাটাকের সময় যদি কেউ আপনার পাশে থাকে তাহলে সে যেন আপনাকে শান্ত হতে সহায়তা করতে পারে।
প্যানিক অ্যাটাক প্রতিরোধে যা করবেন
★ ক্যাফেইন তিক্ত স্বাদযুক্ত পদার্থ যার কফি, চা ও চকলেট এসব জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
★ প্যানিক অ্যাটাক মোকাবেলায় গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে।
★ সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার অ্যারোবিক ব্যায়াম করতে হবে। এর ফলে স্ট্রেস পরিচালনা স্বাভাবিক থাকে।
★ দৈনিক খাবার খাওয়ার সময় নিয়মিত বিরতি বজায় রাখতে হবে।
★ প্যানিক অ্যাটাক কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে কাউন্সেলিং থেরাপি বিষয়ে ধারণা নিতে হবে এবং কাউন্সেলিং থেরাপি করতে হবে।