।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা, মাছের মাথা খেলে মানুষের বুদ্ধি বাড়ে। তাই খাওয়ার সময় মা-বাবারা তাদের সন্তানদের পাতে তুলে দেন মাছের মাথা। কারণ মাছের তুলনায় মাছের মাথায় রয়েছে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ। মাছের মাথায় অনেক ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে সমৃদ্ধ থাকে। তাই মাছের মাথা নিয়মিত খেলে মিলবে অনেক উপকার। গবেষণায় জানা গেছে, মাছের মাথা খেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার শরীরের কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক, অনিয়মিত হার্টবিটের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। চোখ এবং মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী মাছের মাথা ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস।
চলুন জেনে নেয়া যাক মাছের মাথা খাওয়ার উপকারিতাঃ-
প্রোটিনে সমৃদ্ধ
মাছের মাথার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই খুব সহজেই এই প্রোটিন শরীর গ্রহণ করে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হয়। মাছের মাথায় থাকা প্রোটিন শরীরে ঘাটতি মেটাবে। পেশি তৈরি থেকে শুরু করে কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি মাছের মাথাও খেতে হবে। মাছের মাথার পুষ্টিগুণ চোখের বয়সজনিত ক্ষতি দূর করে এবং রেটিনাও ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে চোখের বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। চোখের মাইনাস পাওয়ার বৃদ্ধিজনিত সমস্যা দূর করতে এবং চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত মাছের মাথা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসে উপকার করে
মাছের মাথার মধ্যে থাকা অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস রোগের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকার করে। নিয়মিত মাছের মাথা খেলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া মাছের মাথা খাওয়ার কারণে অটোইমিউন রোগের ঝুঁকিও কমায়।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধযুক্ত মাছের মাথা খাওয়ার ফলে শরীরের একাধিক উপকার হয়। যেমন এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে সাহায্য করে থাকে। জানা গেছে, নিয়মিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেলে মানুষের বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই মাছের মাথায় থাকা প্রোটিন বুদ্ধি বাড়াতে পারে একথাটি একেবারে সত্যি।
বড় মাছের মাথার তুলনায় ছোট মাছের মাথা খাওয়া খুবই জরুরী। কারণ, বড় মাছের মাথার মধ্যে ফ্যাট বেশি থাকে। যা ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বড় মাছের মাথা খাওয়া একেবারেই কমে দিতে হবে এবং ছোট মাছের মাথা বেশি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ছোট মাছের মাথায় খুব বেশি ফ্যাট থাকে না। তাই এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।