।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
সন্তানের বেড়ে ওঠা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে সন্তানের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বুদ্ধিমত্তা বিকাশের ব্যাপারে অধিকাংশ মা বাবা সচেতন থাকেন। গবেষকদের মতে, এক থেকে দুই বছরের মধ্যে শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ ঘটে। এ কারণে এই সময় অবশ্যই তাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করতে পারে।
➤ ডিম
ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস, এটা আমরা সবাই জানি। এ ছাড়া ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে, যা শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
➤ সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, লইট্যা, রূপচাঁদা, বাটার ফিশ ইত্যাদি মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলিতে পাওয়া যায় প্রোটিন, জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন এবং ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড।
➤ রঙিন সবজি
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা মস্তিষ্কের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বাড়াতে টমেটো, মিষ্টি আলু, কুমড়া, গাজর বা পালং শাকজাতীয় সবজি খাওয়াতে পারেন।
➤ কমলা
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি স্বাস্থ্যকর মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বুদ্ধিভিত্তিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে কমলা।
➤ বেরিজাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, চেরি জাতীয় ফলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
➤ দই
মিষ্টি ছাড়া দই মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে প্রোটিন, জিঙ্ক ও আয়োডিনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শিশুদের থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে আয়োডিন প্রয়োজন। গবেষকদের মতে, হালকা আয়োডিনের ঘাটতিও শিশুর যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে।
➤ চিনাবাদাম ও চিনাবাদামের মাখন (পিনাট বাটার)
চিনাবাদাম ভিটামিন ই-এর উৎস হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এতে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা স্নায়ুতন্ত্রের আবরণকে সুরক্ষা দান করে। এ ছাড়া চিনাবাদাম থেকে থায়ামিন পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে গ্লুকোজ ব্যবহার করে শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে।