দেওয়ার মধ্যে মিটিমিটি হাসে পূন্নিমার চাঁন
সিন্দুরমতি দীঘিতে ভেসে উঠে দুইটা নাল পদ্ম
শোনা যায় সুবলের বাঁশির সুকরুণ সুর,
সিঁদুর-মতির মায়াবী কাঁন্দন
“বাজান, এ তোমরা কি করলেং?
সুবলের কোন দোষ আছিল না।”
বিনা দোষে মানষ্যক আর কত মারবেন?
বিরান পাথারে দেহি জলের কোলাহল
কালিদহ সাগরে ভেলা ভাসাইয়া যায়
বেহুলা লখিন্দরে বুকে জড়িয়ে দেবপর্বতে
দেবতার মন জয় করে নিয়ে আসবে
ভাসুর, সপ্তডিংগা আর স্বামী লখিন্দরে বাঁচিয়ে।
বেহুলা আর কত দিন ভাসবে জলে?
আহারে আবারো ডুবে যায় বেহুলার চর
নুনখাওয়ার চরে নুনও পাওয়া যায় না
সুখের চরের মানুষের কষ্ট দেখে
পরানডা কাঁইন্দা উঠে থাকিথাকি
ঘুঘুমারীর চরে উড়ে না কোন পকি
আলোর চরে আন্দার খেলা করে।
কোনঠে গ্যালো বাহে সুখ, শান্তি, পিরিত?
আউলিয়ার চরে আজ আর্ত্মনাদ
ঝড়ি নাই আসতে ভাসি গ্যালো
হামার উত্তর বাংলা।
এত জল থাকে কোনঠে খড়ার দিনত?
মনসা ভারত মাতা আর কত ডুবাইবি?
আর কত কাঁন্দাবী আপন সেজে?
জরীফ উদ্দীন
১২/০৮/২০১৬ খ্রিঃ