।। নিউজ ডেস্ক ।।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের দাবিতে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করেছেন ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সিএনবির একদল জলবায়ু কর্মীরা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮.৩০ মিনিটে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে সমবেত হয় জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। পরবর্তীতে র্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত যায় এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে নেয় সিএনবি, গ্রীন ভয়েস, একশন এইড ও চেঞ্জমেকারস এর মতো পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো।
এ সময় জলবায়ু কর্মীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি আমদানির ওপর দেশের নির্ভরতা কমানোর দাবি জানান। পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা বজায় রাখার দাবিও জানানো হয়।
বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পুরো বিশ্ব খুবই সংকটাপন্ন অবস্থা পার করছে। তার ওপর ধনবান দেশের বহুদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে জীবাশ্ম জ্বালানির বিভিন্ন প্রকল্পে, যেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে মূলত এশিয়া ও আফ্রিকার মতো মহাদেশের দেশগুলোতে। পাশাপাশি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে এখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে উন্নত দেশগুলোকে। তার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
২০১৯ সালে বিশ্বে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির মধ্যে উৎস হিসেবে জ্বালানি তেল থেকে এসেছে ৩৩ শতাংশ, কয়লা থেকে ২৭ শতাংশ, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে ২৪ শতাংশ, পরমাণু শক্তি থেকে ৪ শতাংশ, জলবিদ্যুৎ থেকে ৬ শতাংশ এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক জ্বালানি থেকে ৫ শতাংশ।
২০১৫ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ৫১ বছরের মধ্যে তেল, ১১৪ বছরের মধ্যে কয়লা এবং ৫৩ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত ফুরিয়ে আসবে। তবে আরও কিছু গবেষণা প্রতিবেদনে আগামী ২০৫২ সালের মধ্যেই তেলের মজুত ফুরিয়ে আসার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে আজকে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচি পালন হচ্ছে সুইডেনের জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গড়ে তোলা স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’-এর আহ্বানে।