।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কলা খুবই পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি ফল। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং খেতেও লাগে অনেক সুস্বাদু। এমন কেউ নেই যে কলা পছন্দ করে না। কলার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন ফল হিসেবে কলার বেশ কদর আছে। ঠিক তেমনি সবজি হিসেবেও বিশেষ চাহিদা আছে কলার। পাকা কলায় যেমন পুষ্টি থাকে কাঁচা কলার মধ্যেও রয়েছে বিশেষ পুষ্টিগুণ। অনেকেই কাঁচা কলা সবজি হিসেবে বিভিন্ন ধরেণর তরকারি রান্না করে অথবা বড়া বানিয়ে খেয়ে থাকেন।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন, কলা পেটের অসুখ সারাতে অনেক উপকার করে। পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ এই ফল সবজি হিসেবে খেলে আলসার, সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সবজি হিসেবে কাঁচা কলার বিকল্প কিছুই নাই। কাঁচা কলায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেড, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি এবং আরও নানা উপকারী উপাদান।
পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলেছে, কলায় থাকা ভিটামিন-সি রক্তনালির রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তের মধ্যে অক্সিজেন পরিবহনের মাত্রা বারিয়ে দেয়। এছাড়াও কাঁচা কলার উপাদানে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তের মধ্যে থাকা শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, পটাশিয়াম মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি শরীরকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাঁচা কলার পুষ্টিগুণঃ-
★ নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে ওজন কমে যায়। কাঁচা কলায় আঁশজাতীয় বিশেষ উপাদান থাকে যা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
★ কাঁচা কলা খেলে দ্রুত ক্ষুধা ভাব কমে যায়, কেননা কাঁচা কলা এক ধরণের ভারি জাতীয় খাবার যা অতিরিক্ত খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমিয়ে দেয়।
★ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
★ কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
★ পেটের ক্ষুধামন্দা ও অ্যাসিডিটির ভাব কমিয়ে খাবারের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কাঁচা কলা।
★ কাঁচা কলা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
★ কাঁচা কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন যা শরীরের হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।