।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
অনেক সময়ে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গকে গ্যাসের ব্যথা বলে ভুল করেন মানুষ। সেই ব্যথা গ্যাস থেকে হয়েছে নাকি, হার্ট-অ্যাটাকের ব্যথা তার সত্যতা যাচাই না করেই অনেকে বুকে জ্বালাপোড়া করা বা কোন প্রকার ব্যথা হলে বদহজম হয়েছে বলে ধারণা করে থাকেন। তবে বুকে জ্বালাপোড়া বা ব্যথার লক্ষণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গও হতে পারে। এই হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলোকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে রোগীকে অনেক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি রোগীর প্রাণ বাচাতে ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা। তাই ব্যথার ধরণ জানা খুবই প্রয়োজন। বুঝতে হবে সেটি কি হার্টের ব্যথা না কি গ্যাসের ব্যথা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চিকিৎসকদের মতে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলো মানুষ অবহেলা করেন। ফলে চিকিৎসকের কাছে দেরিতে পৌঁছনোর কারণে মৃত্যু হয় রোগীর। বুকে জ্বালা হলেই আমরা ধরে নেই খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম থেকে বদহজম হয়েছে। তবে এই লক্ষণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গও হতে পারে, সেটাও জানা দরকার।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের এক গবেষণা বলছে, হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গ খেয়াল না করতে পারলে তার ফলে কেবল মৃত্যু নয়, বেঁচে থাকলেও অনেক জটিলতা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে এবং চিকিৎসা পেতে এক ঘণ্টা দেরির জন্য মৃত্যুর হার বেড়ে যায় ১০ শতাংশ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্টের ব্যথার লক্ষণগুলোঃ-
★ হার্ট অ্যাটাক হলে বুকের মাঝে চাপ ধরে ব্যথা হবে বা বুকের মাঝে কিছু চেপে ধরে আছে বলে মনে হবে।
★হাঁটলে বা সিঁড়ি ভাঙলে চাপ ধরে থাকা ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে।
★ ব্যথা শরীরের চোয়াল, ঘাড় বা পিঠের দিকে যেতে পারে। একে বলা হয় অ্যানজাইনাল পেন।
★ শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরতে শুরু করে।
★ একপর্যায়ে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।
★ এরপর আস্তে আস্তে মুখের রং পরিবর্তন হয়ে ফ্যাকাসে বা কালচে রং হতে পারে।
★ ধীরে ধীরে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করবে।
★ এ ধরনের ব্যথা অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো স্থায়ী আকার ধারণ করতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রতিদিন জোরে জোরে হাঁটুন কমপক্ষে চার কিলোমিটার। আপনার যদি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ভাত, রুটি, আলুর মতো কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রতিদিন তেল ও চর্বি জাতীয় খাবারের পরিমাণ ১৫ থেকে ২০ মিলিলিটার করুন। মাসে তিন-চার দিন নিয়মের ব্যতিক্রম হলে অসুবিধা নেই। কিন্তু বাকি দিনগুলো এভাবেই চলতে হবে। ধূমপান একেবারেই করা যাবে না।