।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
কখনো বন্যা, কখনো খরা, কখনো শীত সাথে বৃষ্টি ভেঙে দেয় কৃষকের সাজানো স্বপ্নগুলো। বারবার ধাক্কায় পুঁজি হারিয়ে বিপাকে পড়ে চিলমারীর কৃষক। চলতি মৌসুমে কৃষকের আমন ক্ষেত বন্যায় ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে রোদের তাপে পুড়ছে প্রায় ১৫ হাজার কৃষকের স্বপ্ন। ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তা দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও তার পরিবার।
জানা গেছে, চিলমারী চলতি মৌসুমে প্রচণ্ড খরার সাথে ৪র্থ দফার বন্যার কবলে পড়ে। ৪র্থ দফায় বন্যার পানিতে ডুবতে শুরু করে হাজার হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত, নষ্ট হয় সবজি ক্ষেতও। দীর্ঘ সময় পর বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও প্রচণ্ড রোদের তাপে পানিতে তলিয়ে থাকা আমন ক্ষেত পচে নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষেতেই রোপা আমন পচতে এবং নষ্ট হতে দেখে কৃষকরা। সরেজমিন হ্যালিপেড, জুম্মাপাড়া, মাচাবান্দা, সবুজপাড়া, সরকারপাড়া, শরিফেরহাট, ফকিরপাড়া, পাত্রখাতাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে দীর্ঘদিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকা আমন চারা রোদের তাপে পচতে শুরু করেছে। চোখের সামনে ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হতে দেখে কৃষকের বাড়ছে দুশ্চিন্তা, ঝরছে চোখের জল।
ফকিরপাড়ার কৃষক রতন ও আঃ লতিফ বলেন, বর্গা নেয়া জমিতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে আমন চাষ করলাম, বন্যা আর রোদের তাপ সাথে খরা সব নষ্ট করে দিল
এখন কি করমো কোন কিনারা পাচ্ছিনা।
শরিফের হাট এলাকার আঞ্জু, ইমরানসহ অনেকে বলেন, প্রচণ্ড খরা উপেক্ষা করে হাজার হাজার টাকা খরচ করে আমন চাষ করার কয়েকদিন পর ৪র্থ বারের বন্যা আইসে হামার সব সর্বনাশ করে দিল, আর রোদের তাপে জমিতেই পচে যাচ্ছে আমন চারা। প্রচণ্ড খরার পর ৪র্থ দফার বন্যার কবলে পড়ে রোদের তাপে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার কৃষক এখন দিশাহারা। পুঁজি হারানো কৃষকরা এখন দুশ্চিন্তায় ভুগছে।
প্রায় ১৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত স্বীকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, চলতি বন্যায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকের পাশে সরকার সব সময় ছিল এবং থাকবে তাই হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০৯/২৩