।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
রান্নায় নারকেলের দুধ দিলে তার স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। যাদের গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারে অ্যালার্জি আছে তাদের মধ্যে অনেকেই আজকাল নারকেলের দুধ খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই নারকেলের দুধ ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার করেন। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেই শুধু নয়, বরং চুলের সৌন্দর্য রক্ষায়ও সমানভাবে কাজ করে নারকেল দুধ। পুষ্টিবিদেরা বলেছেন, নিয়মিত এই দুধ খেলে বিপাকহার উন্নত হয়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই দুধ বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও।
নারকেল দুধ কি
নারকেল গাছের ফল পাকা বাদামী নারকেলের সাদা অংশ থেকে এই দুধ তৈরি করা হয়। দুধের একটি ঘন সামঞ্জস্য এবং একটি সমৃদ্ধ, ক্রিমি টেক্সচার রয়েছে। থাই এবং অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় খাবারে এটি বেশি পছন্দের। এটি হাওয়াই, ভারত এবং কিছু দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশেও জনপ্রিয়।
শক্তির উৎস
নারকেল দুধের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি সরাসরি লিভারে গিয়ে সেখান থেকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কায়িক পরিশ্রম করার পর খুব ক্লান্ত লাগলে তাৎক্ষণিত শক্তি ফিরে পেতে খেতে পারেন নারকেলের দুধ।
পুষ্টিগুণ
নারকেল দুধে রয়েছে প্রায় ৯৩ ভাগ ক্যালোরি চর্বি থেকে আসে, যার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস (MCTs) নামে পরিচিত। প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলের দুধে যে সকল পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত থাকে- তার মধ্যে রয়েছে শক্তি: ২৩০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট: ৫.৫ গ্রাম, চিনি: ৩.৩ গ্রাম, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার: ২.২ গ্রাম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট: ২১.১ গ্রাম, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ১ গ্রাম, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ০.২৬ গ্রাম, প্রোটিন: ২.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম: ১৬ মিলিগ্রাম, আয়রন: ১.৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম: ৩৭ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ: ০.৯২ মিগ্রা, ফসফরাস: ১০০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম: ২৬৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম: ১৫ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক: ০.৬৭ মিলিগ্রাম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন ও ভিটামিন ই।
সংক্রমণ রোধ করতে
নারকেলের দুধের মনোলোরিন নামক বিশেষ একটি উপাদান থাকে, যা ভাইরাসের লিপিড মেমব্রেনটিকে ধ্বংস করে তার কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।