।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
কখনও ঝড়ছে বৃষ্টি, কখনও খড়া এরিমধ্যে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির সাথে চতুর্থ দফার বন্যার ফাঁদে চিলমারী। প্লাবিত হয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর আমন ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ঘর ছেড়েছে অনেকে। ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।
চতুর্থ দফায় বন্যার ফাঁদে পড়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী মানুষসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষ। চলতি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার কৃষকের স্বপ্ন গেছে ডুবে। দিশাহার কৃষকের দিন কাটছে হতাশায়। বারবার বন্যার থাবায় পড়ে বন্যার্ত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। বন্যায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেশকিছু পরিবার চতুর্থ বারের মতো ছেড়েছে বাড়িঘর। এছাড়াও মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্যা কবলিত এলাকার হাজার হাজার পরিবার।
সরেজমিন, নয়ারহাটের উত্তর খাউরিয়া, বজড়াদিয়ার খাতা, রমনার জোড়গাছ, মাঝিপাড়া, বাসন্তিগ্রাম, মাষ্টারপাড়া, থানাহাটের মাছাবান্দা, সবুজপাড়া নালারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠছে। টানা বেশ কয়েকদিন থেকে পানিবন্দি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে করছে মানবেতর জীবন যাপন।
পানিবন্দি এলাকার মানুষজন জানান, বারবার বন্যার কবলে পড়লে কি আর ভালো থাকা যায় এর উপর এই বৃষ্টি আর প্রচন্ড গরম। বন্যার পানি আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
৯ দিন থেকে ঘর ছাড়া হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিলেও মেলেনি সাহায্য এমনটি জানিয়ে রমনা বাঁধ মাষ্টার পাড়া এলাকার মরিয়ম বলেন, হামার কষ্ট কেডা দেখেরে বাবা। শুধু মরিয়ম নয় এরকম অনেক পানিবন্দি মানুষের ভাগ্যে জোটেনি সহায়তা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও বিতরণে নানা অভিযোগ উঠেছে এছাড়াও নিম্নাঞ্চলে চাল দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, চলতি বন্যায় এখন (বৃহঃ বার) পর্যন্ত ২৪ মে.টন চাল ও ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলম বলেন, বন্যার্ত ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যার্ত মানুষ ও ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে সরকার ছিল এবং থাকবে এছাড়াও আমরা সব সময় খোঁজ খবর রাখছি এবং এলাকা পরিদর্শন করছি।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০২/২৩