।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে অবদা বাঁধ ও রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। হুমকির মুখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রামসহ হাজারও একর ফসলি জমি। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে উপজেলা সদরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার মানুষজনের মাঝে। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির কারনে ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মপুত্র। পানির তোড়ে চিলমারীর রানীগঞ্জ কাঁচকোল স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) অবদা বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। পানির তোড়ে ডেবে গেছে প্রায় ২০ মিটার পিচিং, ভেঙ্গে যাচ্ছে বাঁধ। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমিসহ রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সড়কটারী, শিমুল তলা বাঁধ গ্রাম, পাঁচাগ্রাম, পূর্ব ভাটিয়াপাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রাম। শুধু তাই নয় বাঁধ ভেঙ্গে গেলে নিমিষেই তলিয়ে যাবে উপজেলা সদরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় ভাঙ্গন ও প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে আজ এই ধস এবং আতঙ্ক অভিযোগ করে কাঁচকোল এলাকার মানুষজন জানান, ভাঙ্গন বা ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেন এবং জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করলেও কাজের ধীরগতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারবার ধস ও ভাঙ্গনের আতঙ্কে পড়ে এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন, এই বাঁধ ভেঙ্গে গেলে শুধু রানীগঞ্জ নয় উপজেলা সদরও পড়বে হুমকির মুখে সেই সাথে চলমান বন্যায় নিমিষেই তলিয়ে যাবে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামসহ উপজেলা সদর, পানিবন্দি হয়ে পড়বে লক্ষাধিক মানুষ।
বাঁধ ভেঙ্গে গেলে হুমকির মুখে পড়বে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম নিঃস্ব হবে হাজারো পরিবার স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বাঁধের পূর্ব দিকে চর পড়ায় পানির প্রবল স্রোতে এই ধস দেখা দিয়েছে, তিনি আরও বলেন বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ধস ঠেকানো না গেলে চিলমারীর একটি বড় অংশ ঝুঁকিতে পড়বে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধস এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে, আশা করি সমস্যা হবে না।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০১/২৩