।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
আবারো বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল, ডুবে গেছে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত বিপাকে পড়েছে কৃষক। দুশ্চিন্তার সাথে চোখে জল নিয়ে পুঁজি ভাবনায় পড়েছে কৃষক। বৃষ্টির সাথে হু হু করে বাড়তে থাকা ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সাথে তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় তালিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম। ডুবে যাচ্ছে একের পর এক আমন ক্ষেত ।
জানা গেছে, ২য় ও ৩য় দফায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় হঠাতেই দেখা দেয় খরা। খরার সাথে কমে যায় ব্রহ্মপুত্রের পানি। বিপাকে পড়ে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক। প্রচণ্ড খরায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছিল কৃষক। অবশেষে দেখা দেয় বৃষ্টির কৃষকরাও নেমে পড়ে মাঠে। বেশিরভাগ জমিতে আমন চারা লাগানো শেষ করে কৃষক।
আবারো টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। ৪র্থ বারের মতো ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে সাথে যোগ দেয় তিস্তার পানি। চিলমারী উপজেলাটি ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার মাঝে পড়ায় বরাবরে দুই নদীর পানির তোড়ে পড়ে চিলমারী। এবারেও ব্রহ্মপুত্রের পানির সাথে তিস্তার পানি ও টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হতে শুরু করে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যায় বিভিন্ন গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধির সাথে টানা বৃষ্টির ফলে ডুবতে শুরু করে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক। দফায় দফায় বন্যা, সেই বন্যার ভয়ে দীর্ঘ সময় পর খরা দেখে চাষিরা নেমেছিল মাঠে। মাঠ জুড়ে সবুজে সবুজে ভরে উঠে কিন্তু সেই সময় বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে আমন ক্ষেত। হাজার হাজার টাকা খরচ করে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় চোখে জল নিয়ে চিন্তামগ্নে তাকিয়ে আছেন কবে নেমে যাবে বন্যার পানি।
মাছাবান্দা এলাকার কৃষক খয়বর আলী বলেন, কি আর কমো বন্যার পানি যদি ক্ষেতের ফসল খেয়ে যায় তাহলে কি যে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় ৪৫০ থেকে ৫ শত হেক্টর আমন ক্ষেত ইতি মধ্যে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের সমস্যা হবে না।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/৩১/২৩