বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
আপনাকে কুড়িগ্রাম জেলায় স্বাগতম। শত ব্যস্ততার মাঝেও কুড়িগ্রামকে স্মরন রেখেছেন এবং আপদে বিপদে আমাদের মাঝে বার বার ছুটে এসেছেন এ জন্য আমরা কুড়িগ্রামবাসী ধন্য ও গর্বিত। তবে এবারে আপনার আগমনের উদ্দেশ্যে নিয়ে আমরা মর্মাহত,হতাশ ও বিষন্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার অবশ্যই মনে আছে, সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, জাতীর পিতা, আমাদের স্বপ্ন দ্রষ্টা, আপনার পিতাও আমাদের পাশে বার বার এসেছেন। বিরোধী দলে থাকার সময় রাজারহাট উপজেলার হরিশ্বর তালুক গ্রামে একজন না খেয়ে মারা গেলে আপনি ছুটে গেছেন তার বাড়ীতে। যা তৎকালিন তরঙ্গিত হয়েছিল জাতীয় পর্যায়ে। ক্ষমতায় এসেই আপনি দেশের ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পেরও উদ্বোধন এই কুড়িগ্রামেই করেছিলেন। দেশের ছিটমহল বিনিময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারনে আপনার বার বার এই জেলায় আসা। কিন্তু আমরা আজ ভালনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সরকার বা দলীয় লোকজন যাই বলুকনা কেন, যত উন্নয়নের তথ্যই দেক না কেন, মঙ্গা যাদুঘরে যতই পাঠাক না কেন,সরকারি পরিসংখ্যান সহ সমগ্র দেশবাসি বলে কুড়িগ্রাম হচ্ছে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র্য জেলা। যার হার ৬৩.৭%। বন্যা, ক্ষুধা, বিশন্নতা, হতাশা আমাদের বাঁচার সহযাত্রি। এই প্রশ্নটা বার বার আমাদের মনে জাগে যে, বিভিন্ন কুলখানি,কাঙ্গাল
ভোজ,দোয়া মাহফিল,ইতিমদের সাথে ফটোসেশন এ সবের জন্য যেমন কিছু ইতিম মাসুম বাচ্চা দরকার ঠিক তেমনি দেশের অভাবী লোককে সাহায্য করার মহৎ উদ্দেশ্যে জাতিকে বা বিশ্বকে দেখানোর জন্যই কি কুড়িগ্রামের অভাবী মানুষের প্রয়োজন ? তা না হলে ত্রান,সাহায্যে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার যতটা আন্তরিক মঙ্গা দুরকরনের স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহনে ততটা আন্তরিক নয় কেন?বাসন্তি থেকে শুরু করে অনেক কলঙ্গকের তিলক আমাদের ললাটে,৭২ সাল থেকেই চলছে রিলিফ, তবুও আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রি অতীত অভিজ্ঞা থেকে বলছি আমাদের ১০ টাকায় চাল
খাওয়ার দরকার নেই।ফ্রি রিলিফ খেয়ে যখন উন্নয়ন হয়নি তখন ১০ টাকায় চাল খেয়েও উন্নতি হবেনা এটা শতভাগ নিশ্চিত। তাই আমরা আর এ সব
চাইনা, আমরা কাজ চাই, কাজ করে শরিরের ঘাম ঝড়িয়ে ৫০ টাকার চাল খেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে চাই।দেশের ৬৩ জেলা পারলে আমরা
পাবনা কেন?তারা যদি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বে সেকেন্ড হোম করতে পারে তবে একমুঠো ভাতের জন্য কেন আমাদের এত অসহায়ত্ব?তাই আপনার আগমনে আমাদের প্রত্যাশা ভিতরে জীবানু রেখে উপরে মলম লাগিয়ে সাময়িক উপকার নয় চিরস্থায়ী পরিকল্পনা চাই।আপনি আমাদের কর্মসংস্থান দেন আমরা আপনাকে মঙ্গা ও দরিদ্র্য মুক্ত উন্নত জেলা উপহার দিব।
—– শরীরে কোথাও একটা বিশফোরা উঠলে তার ব্যাথা যেমন সারা শরিরে ছড়িয়ে যায় ঠিক তেমনি এত প্রকট দরিদ্র্য জেলা রেখে আপনার মধ্যম আয়ের দেশ বাস্তবায়ন অসম্ভব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী# মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি পারেন আপনিই পারবেন আমাদের এ বিশ্বাস থেকে আপনার কাছে আমাদের এ ক্ষুদ্র চাওয়া………..
1. চিলমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চাই।
২. চিলমারীতে আন্তর্জাতিক মানের নৌ বন্দর চাই।
৩. চিলমারী টু সুন্দরগঞ্জ রাস্তার কাজের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
৪. কুড়িগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় চাই।
৫. চিলমারী-রৌমারী- রাজিবপুর রুটে লঞ্চ চাই।
৬. কুড়িগ্রামে শিল্পাঞ্চল চাই।
( সংগ্রহীত ও সংযোজিত)