।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। উজানের ঢলে পড়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতি মধ্যে তলিয়ে গেছে সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটিও।
হারিজন পল্লী তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নেয়া প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে শাখাহাতি, বজড়াদিয়ার খাতাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। হরিজন পল্লী বাসীর সাথে উক্ত এলাকার বেশকিছু হিন্দু পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। বিপাকে পড়েছেন সদ্য রোপা আমন চাষিরাও।
জানা গেছে, উজানের ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে চিলমারীর ক্ষেত, খামার, নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি। এই নিয়ে ৪র্থ দফা বন্যার কবলে পড়লো চিলমারী বাসী। তলিয়ে গেছে সবুজপাড়া নালার পাড় এলাকায় সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটি। হরিজন পল্লীটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সদ্য আশ্রয় নেয়া ৩০টি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় আশ্রিত মানুষজন খাবার পানির সংকটে। শুধু তাই নয় পল্লীতে প্রবেশের সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় কোমর থেকে বুক পর্যন্ত পানি ভেঙে পারাপার হতে হচ্ছে আশ্রিত হরিজনদের।
আশ্রয় নেয়া দেব চন্দ্র জানান, সামান্য বন্যায় তলিয়ে গেছে আমাদের পল্লী, আর একটু পানি বাড়লে তো এখানে থাকাই যাবেনা।
শ্রী পারুল বলেন, পল্লীটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাচ্চা, কাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি, সব সময় থাকি টেনশনে।
নেমু লাল বলেন, যাতায়াতের রাস্তাটি নির্মাণ না করায় কোমর থেকে বুক ভর্তি পানি ভেঙে সদরে কাজে যেতে হয়। এদিকে বন্যার কারণে কাজেও যেতে পারছিনা, ফলে খাবারের কষ্টে আছি। বন্যার পানিতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আশ্রয় নেয়া হরিজনরা অভিযোগ করে বলেন, এতদিন থেকে আশ্রয় নিয়ে আছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় খাবার পানির কষ্টে আছি। এর উপর আবার বন্যা। তারা আরও জানান, পানিবন্দি হয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা তারা পায়নি।
চলমান বন্যায় নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বিপাকে পড়েছে তা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, হরিজন পল্লীতে আশ্রয় নেয়া মানুষজনসহ পানিবন্দি মানুষের পাশে সরকার ছিল এবং আছে, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং দ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/২৮/২৩