।। টেক ডেস্ক ।।
বর্তমানে বিশ্বের সকল শ্রেণীর মানুষ ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করছেন। অনেকেই না বুঝেই ইনবক্সে আসা লিংক কিংবা চটকদার কোনো বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করছেন সেসব লিংকে, যা হতে পারে হ্যাকারদের পাতানো ফাঁদ।
বিভিন্ন ব্যাংক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, জি-মেইল, বিভিন্ন সংস্থার লগইন পেজ এর মতো ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবহারকারীদের কাছে মেসেজ পাঠায়। এসব ওয়েবসাইটে ঢুকলেই ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ঢুকে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। তাই কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন যে ওয়েবসাইটটি আসল না ফিশিং। খুব সহজে কিন্তু আসল ও ফিশিং ওয়েবসাইট চেনা যায়।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফিসিং লিংক বা ওয়েব সাইট চেনার উপায়ঃ
✶ লক্ষ্য করুন, যে মেইল অ্যাড্রেস থেকে আপনার কাছে মেইল বা মেসেজ এসেছে সেটাকে যাচাই করুন। যেমনঃ ডোমেইননেম গুগলে সার্চ করুন এবং যাচাই করুন এবং সার্চ রেজাল্ট ভালো করে চেক করুন। যদি কোনো রকম মিল খুঁজে না পান, সে ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও লিংকটি ভালোভাবে চেক করুন সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএলটিতে এইচটিটিপি ও ডোমেইন নেমের বানান ঠিক আছে কি না। ভুয়া বা ফিশিং ওয়েবসাইটের ইউআরএলে সাধারণত এই ভুলগুলো থাকে।
✶ ভুয়া বা ভুল তথ্য শনাক্তকরণের জন্য প্রথমেই দেখবেন, হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে বা যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মেসেজটির পাশে ‘ফরওয়ার্ড’র চিহ্নটি আছে কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া মেসেজগুলো ফরওয়ার্ড হয়ে বিভিন্ন মানুষের মেসেজে আসে।
✶ ভুয়া লিংকে বানান ভুল অথবা অনেক অক্ষর থাকতে পারে। যেগুলো কোনো অর্থ প্রকাশ করে না। কিন্তু ওই লেখাগুলো হাইপারলিংক করা থাকায় ট্যাপ করলেই আপনি অন্য একটি পেজে ঢুকে যাবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লগ ইন পেজ অথবা ফর্ম পূরণ করতে বলবে, যেখানে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা পাসপোর্টের নম্বর চাইতে পারে। এই লগ ইন পেজ বা ফর্ম পূরণ করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব লিংকটি মুছে ফেলবেন।