।। জেলা প্রতিনিধি ।।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অরেকটি বন্যা আঘাত হানতে পারে। এসময় উলিপুর ও চিলমারীর কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে কমতে থাকা নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিনে আরও কিছুটা কমবে। তবে ২২-২৩ আগস্ট থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি আবারও বাড়তে পারে। আগামী ২৫-২৬ আগস্ট ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। এর ফলে উলিপুরের সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ এবং চিলমারীর নয়ারহাট ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় এসব অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উজানের ওই পানি ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে নেমে যাবে। ফলে ওই সময় জেলা সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারীর কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। আশা করা হচ্ছে এটাই হয়তো এবারের শেষ বন্যা হতে পারে।’
সম্ভাব্য বন্যার খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘ সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে তিনদফা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদী অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এরমধ্যে গত জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যার কবলে পড়ে কুড়িগ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আগস্টের শেষে আবারও বন্যা দেখা দিলে এটি জেলার দ্বিতীয় দফায় বন্যা হবে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/আগস্ট/২২/২৩