।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে পদোন্নতি ও উচ্চতর স্কেলের জন্য উৎকোচ দাবির অভিযোগের সত্যতা মিলছে। রবিবার (১৩ আগস্ট) দিনভর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আদর্শ এতিমখানা দ্বিমূখী আলিম মাদ্রাসায় গিয়ে তদন্ত করলে অভিযোগের সত্যতা পান। বিষয়টি উলিপুর ডট কমকে নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে উৎকোচ দাবির অভিযোগে গত ১১ আগস্ট উলিপুর ডট কম এ ‘উলিপুরে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান তিনজন প্রভাষকসহ একজন সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে পদোন্নতি ও উচ্চতর স্কেল প্রদানের জন্য উৎকোচ দাবি করেন। ইতিমধ্যে তিনি ওই মাদ্রাসার জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক এরশাদুল ইসলামের কাছে ৮৬ হাজার, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক নজীর হোসেনের কাছে তিন লাখ ৬০ হাজার, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ফারুক হোসেনের কাছে ৯৯ হাজার এবং সহাকারী শিক্ষক রুহুল আমিনের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। তবে সভাপতি কিছু টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্তকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, কর্মরত শিক্ষকগণ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
তারিকুল ইসলাম আরও জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষকরা উৎকোচের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। বিতর্কিত কমিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ তদন্ত প্রতিবেদন লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল করবেন বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, গত বছরের ১ আগস্ট জ্যেষ্ঠতা অনুসারে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করেন এরশাদুল হক। পরে গর্ভনিং বডির সভায় বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আজিজুর রহমান অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না পাওয়ায় দীর্ঘ এক বছর ধরে রেজুলেশন বই নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন তিনি। নিরুপায় হয়ে গত ৭ আগস্ট ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/আগস্ট/১৭/২৩