।। নিউজ ডেস্ক ।।
ফুলবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মৌসুমি খাতুনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী রাশেদুল ইসলাম আশেককে (২৭) ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে ভাঙামোড় ইউনিয়নের নজরমামুদ এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে নিহত গৃহবধুর চাচা নাসির আলী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় রাশেদুলসহ তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন পুলিশ নিহত গৃহবধূ মৌসুমি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত গৃহবধূ মৌসুমি খাতুন (২০) বড়ভিটা ইউনিয়নের পুর্ব ধনিরাম গ্রামের মনছুর আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, মোছাঃ মৌসুমী আক্তার (২০) এর প্রায় ০৪ বৎসর পূর্বে মোঃ রাশেদ আলী (২৭) এর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতে ভকটিমের স্বামী ও শশুর শাশুড়ি ভিকটিমের পিতার নিকট হতে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনসহ মারপিট করে। ভিকটিমের পিতা গরীব হওয়ায় ভিকটিম তার শুর বাড়ির অমানবিক নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে আসছিলো। ঘটনার দিন গত ০৭ আগস্ট সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় যৌতুক লোভী আসামিগণ যৌতুকের টাকা না পেয়ে ভিকটিমকে মারপিট করে। মারপিটের ফলে ভিকটিম অসুস্থ হলে গেলে চিকিৎসা না করে বাড়িতে ফেলে রাখেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে নিস্তেজ/অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গত ০৮ আগস্ট ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করান। পরবর্তীতে ভিকটিম মৌসুমী আক্তার (২০) উক্ত হাসপাতালে ০৫ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১২ আগস্ট রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মামলা হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি রাশেদুল ইসলাম আশেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।