জরীফ উদ্দীন, উলিপুরঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিমকালুডাঙ্গার সফল জনপ্রতিনিধি আব্দুর সাত্তার। তিনি সম্প্রতি হওয়া নির্বাচনসহ নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৫ বার। যার স্বপ্ন শুধু এলাকাবাসীর উন্নয়নের দিকে। তিনি জনগণের কাজে ফাঁকি দেন না। জনগণ তাকে যখনই ডেকেছে তিনি তখনই সাড়া দিয়েছেন তিনি। এলাকায় কোন ঝগড়া বিবাদ হলেই থানায় মামলা পৌঁছানোর আগেই তিনি ফয়সালা করে দেন। এই দীর্ঘ সময়ে এলাকার করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন। রাস্তাঘাট, কবরস্থান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির তৈরিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতিকল্পে তিনি একজন ওয়ার্ড প্রতিনিধি হয়েও ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বেড়িয়েছেন। খোঁজ নিয়েছেন লেখাপড়ার। তিনি মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের কমপক্ষে এসএসসির আগে হাতে মোবাইল নয়। এই কথা বুঝিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের। এমনকি তিনি বিভিন্ন সেমিনারেও এই কথা বলেছেন। তিনি কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে লেখাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধকল্পে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন। তিনি মনে করেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমাদের দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। তিনি দাবী করেন তার ওয়ার্ডে এখন বাল্য বিয়ে পুরোপুরি দূর করেছেন।
তার এলাকায় এখন মদ-গাজা, জুয়া-যাত্রা ইত্যাদি চিরতরে উঠে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি জানান, জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগীতায় তিনি এসব দূর করেন। তার মতে প্রশাসন নয় জনগনই পারে সমাজ থেকে সকল অপকর্ম দূর করতে। তার বারবার ইউপি সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার রহস্য জানান, জনগণকে তিনি ভালোবাসেন এবং জনগণের ভালোবাসাই তাকে বারবার পাঠিয়ে দিয়েছে এই মহান গুরুদায়িত্বে। আগামী ৫ বছরে তিনি তার ওয়ার্ডকে করতে চান একটি মডেল ওয়ার্ড।
ব্যক্তি জীবনে আব্দুর সাত্তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ভবিষ্যতে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নির্বাচন করার ইচ্ছে একেবারেই নেই। এরপরও জনগণের দাবী দাওয়া পূরণ করতে বারবার সদস্য নির্বাচিত হওয়া। তবে জনগণের ইচ্ছে তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে পাওয়ার। তিনি ১৯৮৮ সালে ১ বছর এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম. কফিল উদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে ৩ বছর সর্বমোট ৪ বছর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এতকিছুর পরও তার ইচ্ছে তার বড় ছেলে নূর আমিন তারই আদর্শকে লালন করে যেন জনগণের সেবা করে। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নকে সঠিক স্থানে দাড় করান। স্থানীয় সরকারের জনগণের প্রতি যে দায়িত্ব আছে তা যথাযথ পালন করে জনগণের সাথে জীবন কাটান। জনগণ তাঁর সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আব্দুর সাত্তার।
জনপ্রিয় ও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এই জনপ্রতিনিধিকে উলিপুর ডট কমের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।