।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
অসময়ের বন্যার থাবায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা শেষ হতে না হতেই নেমে যায় বন্যার পানি আর দেখা দেয় খড়া। ফলে আবারো সংকটে পড়ে কৃষকরা। অনেকেই সেঁচের পানি দিয়ে চাষাবাদ করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু তীব্র খড়ার পর দেখা মেলে বৃষ্টির। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জমিগুলো যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠে। তাই এই বৃষ্টিকে কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে কৃষকের দল। ইতিমধ্যে আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চিলমারীর কৃষকরা।
কৃষির উপর নির্ভর এই অঞ্চলের মানুষজন। তাই শত প্রতিকূল পরিবেশেও নেমে পড়ে মাঠে। অভাবকে দূর করতে জীবনকে বাজি রেখে বছরের প্রতিটি সময় কৃষিতে ব্যস্ত থাকে তারা। বন্যা, খড়া, ভাঙন আর বন্যা কখনও কখনও কেড়ে নেয় এদের স্বপ্ন, তবুও থেমে থাকে না এখানকার কৃষকরা। এবারেও থেমে থাকেনি। চলতি মৌসুমে অসময়েই হানা দেয় বন্যা। আর এই বন্যায় পাট, ধান, সবজিসহ লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছিল কৃষকদের। বন্যা চলে যাওয়ার পড়েই দেখা দেয় প্রচণ্ড খড়া। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আবারও পড়েন বিপাকে। জমিতে বৃষ্টির পানি না থাকায় আমন চাষের সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আবারও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নেমে পড়েছেন মাঠে। আমন চাষে পাড় করছেন ব্যস্ত সময়।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের পাট নষ্ট করেছে বন্যা আর উঁচু এলাকায় খড়া। এখনও চরাঞ্চলে পানি থাকলেও খড়া চিন্তায় ফেলাইছিল, আমন চাষ নিয়ে চিন্তায় ছিলাম এখন বৃষ্টি হবার নাগছে তাই দেরি না করে চাষ শুরু করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে আর ইতি মধ্যে প্রায় ৬ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছে আমনের চারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, যদিও বন্যার কারণে এই অঞ্চলের মানুষ আমন চাষ একটু দেরিতে শুরু করেন, তবে আমরা আশাবাদী আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/১২/২৩