।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরসহ জমির দলিল পেল ৫০৫টি হত দরিদ্র গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার। এর সাথে সুফলভোগীরা পাচ্ছেন বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা। সরকারের দেওয়া ঘর ও জমির দলিল পেয়ে দারুন খুশি সুফলভোগীরা।
বুধবার (০৯ আগস্ট) সকালে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত জেলা পর্যায়ে ঘর উদ্বোধন ও হস্তান্তর আনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহার্দী বাপ্পি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম প্রমুখ।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৪র্থ পর্যায়ে (২য় ধাপ) জেলার ৯ উপজেলায় ৫০৫টি হত দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। এরমধ্যে-কুড়িগ্রাম সদরে ৩টি, নাগেশ্বরীতে ৪২টি, ভূরুঙ্গামারীতে ১৪ টি, ফুলবাড়ীতে ৫টি, রাজারহাটে ৩০৪টি, উলিপুরে ৫৯টি, চিলমারীতে ৩৬টি, রৌমারীতে ১৭টি ও রাজিবপুরে ২৫টি ঘরসহ দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চিলমারীর হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ৩০টি এবং রাজারহাটে ঢুলি পরিবারের জন্য ১৯টি ঘর প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪,৭০২ জন। ইতোমধ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৪র্থ পর্যায়ে মোট ৪,৫৫৩ টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১৪৭টি পরিবার।
রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা আশ্রয়ণপ্রকল্পের সুফলভোগী জহির উদ্দিন (৬৪) বলেন, এতদিন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ঘর করে কোন রকমে দিন কাটছিল। এবার নিজের নামে জমিসহ ঘর পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি।
চিলমারীর সবুজপাড়া আশ্রয়ণের (হরিজন পল্লীর) সুফলভোগী ইন্দ্রজিৎ লাল (৪৫) মধুমালা (৩৭) দম্পতি বলেন, আমাদের তো কোন ঠিকানা ছিল না, এবার আমরা প্রধানমন্ত্রী দেয়া জমিসহ পাঁকা ঘর পাওয়ায় নতুন ঠিকানা পেয়েছি। আমরা খুব আনন্দিত।