।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে বাস্তুহারা এক রবিদাস দম্পতি এক সপ্তাহ ধরে জীর্ণশীর্ণ পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বসবাসের জায়গা না থাকায় বাজারের ময়লা ও দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত হাট শেডে কোন রকম দিন পার করছেন। ফলে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া অনন্তপুর বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ভীমরাজ রবিদাস (৬২) ও আরতি রাণী (৫০)। এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে অনন্তপুর বাজারে অন্যের জায়গায় ঝুঁপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছেন। গত এক সপ্তাহ আগে জায়গাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তারা। ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে পরিবারটি। কোথাও ঠাঁই না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নেন বাজারের পরিত্যক্ত হাট শেডে। হাট শেডটি ময়লা দুর্গন্ধময় হওয়ায় বসবাসের অনুপযোগীসহ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।
ভীমরাজ রবিদাস ও আরতি রাণী জানান, আগের মতো হাট-বাজারে আর আয় হয় না। হাটের দিনে ২ ’শ থেকে ২’শ ৫০ এবং বাজারের দিন ৭০ থেকে ৮০ টাকা আয় হয়। তা দিয়েই দুটা মানুষ কোন রকম খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। ঘরবাড়ি করার টাকা-পয়সা নেই। আগে মানুষের জায়গায় ছিলাম, এখন তারা উচ্ছেদ করে দিয়েছে। উপায় না পেয়ে হাট শেডে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে প্রস্রাব খানা, কসাই খানা, ময়লা ও দুর্গন্ধতে থাকা যায় না, খুব কষ্ট হয়।
অনন্তপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, অনেকের ঘর-বাড়ি থাকার পরও অনৈতিক উপায়ে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার সেই ঘর থাকে তালাবদ্ধ। কিছুদিন আগেও অনন্তপুর বাজারের পাশে কয়েকজন রবিদাস পরিবার সরকারের ঘর পেলেও বঞ্চিত হয় ভীমরাজ ও আরতি রাণী। অন্যদের মতো তাদেরকেও একটা ঘর দিলে আজ এমন পরিণতি হতো না।
হাট ইজাদার জাহাঙ্গীর আলম ও সমাজকর্মী আব্দুল ওহাব বলেন, পরিবারটি অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা ঘরের জন্য ইউএনও স্যার বরাবর আবেদন করবো।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, খবরটি পাওয়ার পর ওখানে গিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। নদের ওপারে খাস জায়গা আছে যদি পরিবারটি যেতে চায় তাহলে থাকার ব্যবস্থা করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা পরিবারটির বাসস্থানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিষয়টি সমন্ধে জানার পর সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/আগস্ট/০২/২৩