একেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল – এর জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৯ মে। তিনি পিতার প্রথম সন্তান। তার পিতা মরহুম আবুল কাসেম ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। শিক্ষা জীবনের শুরুতে মাঈদুল ইসলাম পাকিস্তানের বিখ্যাত সারগোদা স্কুলে লেখা পড়া করতেন। পরে তদানীন্তন কুমিল্লাহ জেলার বিখ্যাত মতলব স্কূলে এবং পরর্বতীতে মতলব হাইস্কুল থেকে ১৯৫৯ সালে মেট্রিক এবং ১৯৬২ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে আই এ পাস করেন। রাজশাহী কলেজে অধ্যায়নরত অবস্হায় তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে কিছুদিন কারাভোগ করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৫ সালে ইতিহাসে অনার্স সহ বিএ পাস করেন। ১৯৬৬ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি শিক্ষাজীবন শেষে তার পরিবারিক ব্যবসা ‘কাসেম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ’ – এ যোগ দেন। প্রতিষ্ঠা করেন কাসেম টেক্সটাইল মিলস লিঃ, কাসেম কটন মিলস লিঃ। পরর্বতীতে কাসেম গ্রুপ শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারিত করে কাসেম সিল্ক মিলস লিঃ, কাসেম রোটর মিলস লিঃ, কাসেম ড্রাইসেলস লিঃ, কাসেম জিংক লিঃ ইত্যাদি শিল্প প্রতিষ্টান প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি তার পিতার নামে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান কাসেম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এর আওতায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে তার মায়ের নামে ১০০ বেডের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। কাসেম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মাতৃমঙ্গল এবং শিশু সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে প্রথমবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ৮৬, ৮৮, ও ৯৬, ২০০৮ এবং পরিশেষে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন এবং একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ভুমি মন্ত্রনালয় এবং সরকারি হিসাব সম্পর্কত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য।
তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি অধূনালুপ্ত দৈনিক দেশ ও সাপ্তাহিক বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার লেখা বই ‘STOP HUNGER’, ‘মাছে ভাতে কুড়িগ্রাম’ ও ‘আত্নসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ উল্লেখযোগ্য।
জনাব একেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল এমপিকে আজকে তাঁর জন্মদিনে উলিপুর ডট কমের পক্ষ থেকে আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।