।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে খরা ও অনাবৃষ্টিতে ফলন ভালো হলেও সোনালি আঁশ ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না তারা। অতিরিক্ত খরায় ক্ষেতে পাট শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আমন চারা রোপণের সময় হওয়ায় পাট কেটে রাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ দিয়ে রাখছে কৃষক । অনেকে নিচু জমিতে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। ফলে খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে আঁশের মানও। তাই ভালো ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২ হাজার ৬’শ ৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। এরমধ্যে স্থানীয় ১০৫ হেক্টর, তোষা ২ হাজার ৩’শ ৩০ হেক্টর, মেস্তা ১১৫ হেক্টর ও কেনাফ ১২০ হেক্টর পাট কর্তন করা হয়েছে এবং মেস্তা ৩০ হেক্টর ও কেনাফ ২০ হেক্টর পাট এখনও মাঠে রয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে এ হিসেবের অনেকটা মিল নেই। এখনো অনেক পাট কাটার বাকি রয়েছে।
এদিকে আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ মাসের ১২দিন পেরিয়ে গেলেও উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে অধিকাংশ খাল-বিল পানিতে টইটম্বুর থাকার কথা থাকলেও এখন শুকনো। কোনো কোনো খাল-বিল, জলাশয়ে সামান্য পানি থাকলেও পাট পঁচানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। অচিরেই ভারী বৃষ্টি না হলে সোনালি আঁশ পাট চাষিদের গলার ফাঁস হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন পাট চাষিরা।
বজরা ইউনিয়নের কালাপানি বজরা গ্রামের পাট চাষি মজিবর রহমান বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করে বড় বিপদে আছি। পানি নাই, পাট জাগ দিতে পারছি না। সব পাট কেটে রাস্তার পাশে রাখছি। রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর পাট চাষ করবো না। একই ধরনের কথা জানালেন উপজেলার একাধিক কৃষক।
সরেজমিন উপজেলার তবকপুর, দুর্গাপুর, পান্ডুল, বজরা, গুনাইগাছ, দলদলিয়া, ধামশ্রেনী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, পানি না থাকায় পাট পচানো নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন পাট চাষিরা। তাদের শঙ্কা সময় মতো পাট কেটে পচাতে না পারলে পাটের রং সুন্দর হবে না, ন্যায্য মূল্যও পাবে না তারা। পরিশ্রম বিফলে যাবে তাদের।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, সাধারণত বর্ষা মৌসুমে পানির সংকট হয় না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এ বছর চাষিদের পাট পচাতে কষ্ট করতে হচ্ছে। তবে কৃষকদের রিবন রোটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/জুলাই/২৭/২২