।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে আমন চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষকরা। তবে ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় শুকিয়ে যাওয়া জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এতে করে কৃষকদের আমন চাষ ব্যহত হচ্ছে। জমিতে পানি না থাকায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করছে অনেকে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা আমন চাষের জন্য জমির জমি প্রস্তুত করছে। অনেক জমিতে এখনও পাট আছে, সেগুলো কেটে আমন চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। অপরদিকে, চরাঞ্চলের অনেক এলাকায় বন্যার আশংকায় এখনও শুরু হয়নি আমন চাষের প্রস্তুতি। সব মিলে কৃষকরা আমন চারা রোপন করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন । তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ যন্ত্র দিয়েই এবার আমন চাষাবাদ চলছে। প্রচন্ড রোদে পানির অভাবে সদ্য রোপণ করা আমন ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ২৪ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে ১৮ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপন হয়ে। এ ছাড়াও আমন চাষের জন্য ১ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এরমধ্য গত ১৫ দিন আগে ভারি বর্ষণে ৫ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূর্ণ ক্ষতি ও ১০ হেক্টর জমির বীজতলা আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পৌর শহরের নারিকেল বাড়ি সন্ন্যাসীতলা এলাকার প্রান্তিক কৃষক খগেন্দ্র নাথ জানান, নিজের জমি নেই, বন্ধকি জমিতে আবাদ করি। খরচ শেষে সামান্য কিছু লাভ হয়। তবে তেল সারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা চাষিরা বিপাকে পড়েছি।
পৌর শহরের নারিকেল বাড়ি পূর্বছড়ার পাড় এলাকার কৃষক এরশাদুল হাবিব জানান, প্রতিবার এমন সময় বৃষ্টির পানিতে ৬ একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করি। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় এখনো জমিতে চারা লাগাতে পারিনি।
নারিকেল বাড়ি কাজির চক এলাকার কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির সময় ৮০ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চারা লাগিয়েছি এখন বৃষ্টি না হওয়াতে সম্পূর্ণ জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
ধামশ্রেনী ইউনিয়নের বর্গাচাষি হামিদুল ইসলাম, সেকেন্দার আলী ও আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে চাষাবাদে অনেক খরচ। তেল, সার, বীজ ও শ্রমিকের মজুরি বেশি। অন্যের জমি চাষাবাদ করে ফসলের অর্ধেক দিতে হয়। সব মিলে এখন আর পোষায় না।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, কৃষকদের সম্পূরক সেচের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও অনেক সময় আছে আশা করা যায় উপজেলায় যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জিত হবে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/জুলাই/২৬/২৩