।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে লাম্পি স্কিন রোগের থাবায় দিশেহারা গরু খামারিরা, প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে এই রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা। এই রোগে আক্রান্ত গরুর মৃত্যুও হচ্ছে বলে জানা গেছে। রোগাক্রান্ত গরু নিয়ে বিপাকে পড়ছে মালিকেরা। সূত্রমতে, চিলমারীতে লাম্পি স্কিন (এলএজডি) রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক গরু। ইতিমধ্যে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ২ থেকে তিনটি গরু মারা গেছে বলে জানা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের খামারি ও প্রান্তিক চাষিরা। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
উপজেলার মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে রমনা মডেল ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা। এর কারণ হিসেবে ঘনবসতি ও খোলা মেলা জায়গা না থাকায় গবাদিপশু এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ। চরাঞ্চলে খোলা জায়গা বা ঘনবসতি বেশি না থাকায় এই রোগের প্রার্দুভাব অনেকাংশেই কম। উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানায়, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা অনেক বেশি।
রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার ছাববান্দ এলাকার কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার ৪টি গরু তার মধ্যে একটি খুবই অসুস্থ। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের দ্বারা পরামর্শ নিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তবে গত দুই সপ্তাহে রমনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা ছাববান্দ এলাকায় ২টি গরু মারা গেছে বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শাহীন আলম বলেন, লাম্পি স্কিন রোগের প্রার্দুভাব বেশি। গতবছরের তুলনায় এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আমরা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে লাম্পি স্কিন রোগের থাবায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে গরু চাষিরা। হাজার হাজার টাকা খরচ করে গরু ক্রয় ও পালন করে অনেকে পুঁজিও হারাতে বসেছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/২৬/২৩