।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দিনেদুপুরে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে টাকা ছিনতাই এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কুমরপুর কানিবাড়ী এলাকায়।
মারাত্মক জখম হওয়া ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ (২০) ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কুমরপুর ফকিরপাড়া এলাকার আজিজার রহমানের পুত্র ও মাঈদুল ইসলাম (৪৩) নাগেশ্বরীর হাসনাবাদ ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নানের পুত্র, তারা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২৪ জুলাই) কুড়িগ্রাম সদর থানায় ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কানিবাড়ী এলাকার রাসেল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম ও এনামুল হকসহ আরও অনেককে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মাঈদুলের ভাগ্নে ও ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে ব্যবসায়ী মাঈদুল ইসলাম ও শাকিল আহমেদ উত্তর কুমরপুর ফকিরপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিম এর বাড়ি থেকে ব্যবসার প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়িতে যেতে থাকে। পথিমধ্যে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কানিবাড়ী এলাকার রাসেল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম ও এনামুল হকসহ আরও অনেকে তাদের পথরোধ করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাদের কাছে থাকা নগদ ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
স্থানীয় তৈয়ব আলী ও বদিউজ্জামান বলেন, আমরা মাঠে কাজ করছিলাম হঠাৎ চিৎকার শুনে যেয়ে দেখি মাঈদুল ও শাকিল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তারা কুড়িগ্রামে রেফার্ড করে। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে টিউশনি শেষ করে বাড়ি যাওয়ার সময় শাকিলরা আমার উপর আক্রমণ চালায়। পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে লোকজন আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে আমি থানায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওসমান আলী বলেন, লোকমুখে শুনেছি মাঈদুল ও শাকিল নামের দুইজনকে কয়েকজন আহত করে তাদের সাথে থাকা অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, জখম ও টাকা ছিনতাই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।