।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম জেলার ২৫০ শয্যায় জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের ডেঙ্গু শনাক্তে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে শনাক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এ শনাক্তের হার জেলা শহরের জেনারেল হাসপাতালসহ ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমুহেও ক্রমেই বাড়ছে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালোতে ডেঙ্গু জ্বরের নমূনা পরীক্ষা করা হয় ২৫ জনের। এরমধ্যে শনাক্ত হয় ৩জন। এনিয়ে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯জনে। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।
কুড়িগ্রাম সদরে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও বাকি ৮ উপজেলায় রয়েছে ৮ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সে হাসপাতালগুলোতে জ্বরসহ ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হলেও এখন পর্যন্ত রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, উলিপুরে ৩ জন, চিলমারীতে ১ জন, রাজিবপুরে ৩ জন, রৌমারীতে ৬ জন, ফুলবাড়ীতে ২ জন ও ভূরুঙ্গামারীতে ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নাগেশ্বরী হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় নি। কিন্তু রোগীর সংখ্যা দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় জেলায় ৩৯ জন রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই জেলার বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে থাকা বিভিন্ন পেশাজীবীর যারা সেখান থেকে এসে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত ৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন যারা গত একমাসে জেলার বাইরে কোথাও যাননি। এ জেলাতেই তারা বসবাস করছেন। ফলে জেলায় বাড়িতেই এডিস মশার কামড়ে এ ৪ জন জ্বরে আক্রান্ত হন ও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তা তদারকি করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ জানান, আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে গত কয়েকদিন ধরে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, মসজিদগুলোতে জুমআর নামাযে খুতবার আগে সতর্ক বার্তাসহ বিভিন্ন সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলেও জানান তিনি।