।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন দাবি এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনটি। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ ক্ষমতার বলে নিজের খেয়াল খুশিমতো ব্যক্তি মালিকানা জমিতে অবৈধভাবে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা পূর্বক জমির প্রকৃত মালিকগনকে জমির দখলচ্যুত করার উদ্দেশ্যে হয়রানিসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করেন হয়রানির শিকার জমির মালিকগণ।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন আতাউর রহমান। লিখিত ও বক্তব্যে তারা বলেন, উপজেলা রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা মৌজার ১নং খতিয়ানের ১৩১২ দাগের ৮০ শতাংস জমির প্রকৃত মালিক বাবু শেখ ওরফে বাবর আলী। ঘটনাক্রমে তা খাস খতিয়ান ১নং খতিয়ানে গেলে বিধি মোতাবেক উক্ত জমি বাবু শেখ ও তার স্ত্রী কুলুকজান এর নামে বন্দোবস্ত নেন। তখন থেকে আমরা (সন্তানরা) কিছু অংশে ধান চাষ এবং কিছু অংশে মাছ চাষসহ ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু এলাকার আঃ রাজ্জাক, কাজিম উদ্দিন গং আমাদের সাথে অহেতুক বিরোধ সৃষ্টি করছে। তারা এসময় আঃ রাজ্জাক ও কাজিম উদ্দিনকে ভূমিদস্যু বলেও দাবি করেন।
বক্তব্যে তারা আরো বলেন, উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চললেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য অফিসার এর সাথে পরামর্শক্রমে আঃ রাজ্জাক ও কাজিম উদ্দিন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে উক্ত জমিতে অন্যায়ভাবে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেন। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আঃ রাজ্জাক ও কাজিম উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রভাবে আমাদের মারপিটসহ খুন জখম করার পায়তারা করিতেছে। উপজেলা মৎস্য অফিসার নুরুজ্জামান খান আমাদের গ্রাম ছাড়ার হুমকি দেন বলে জানান, ভুক্তভোগী দুলাল।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ বলেন, আমার ছেলেকে অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার জমিও দখলের চেষ্টা করছেন। আমি বেশ কয়েকবার তার অফিসে গেলে আমার সাথে ভালো করে কথাও বলেনি, আচরণ দেখে আমি নিজেই বের হয়ে আসতে বাধ্য হইছি।
আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক আগেই উক্ত জমির লিজ বাতিল করা হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক অভয়াশ্রমটি করা হয়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/২২/২৩