।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে গবাদি পশুর ভাইরাস জনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগ মহামারী আকার ধারণ করেছে। উপজেলায় ২ মাসের ব্যবধানে ৩ শতাধিক গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে এর কোন সঠিক তথ্য নেই। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় দ্রুত এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২ মাসের ব্যবধানে ৩ শতাধিক গরুর মত্যু, আক্রান্ত হয়েছে কয়েক হাজার। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে উলিপুর পৌরসভার নারিকেল বাড়ি সন্ন্যাসীতলা গ্রামের মধুসদনের একটি ৩ মাসের ভর্তি গাভী, রত্নেশ্বর একটি ষাঁড়, দুলাল চন্দ্রের একটি বকনা গরু, রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস ছালাম, গোবিন্দ, মহেশের একটি করে ষাঁড় ও জয়দেবের একটি গাভী মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ এ এফ এম শাহরিয়ার তালুকদার বলেন, গবাদি পশুর ভাইরাস জনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ যেহেতু মশা-মাছি থেকে ছড়ায়। সেজন্য আক্রান্ত গরু থেকে সুস্থ্য গবাদি পশুগুলো আলাদা করে রাখতে হবে, থাাকার জায়গা সব সময় শুকনো রাখতে হবে ও মশারি ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত গরুর শরীর প্রথমে ফুলে গুটি-গুটি হয়। কয়েকদিন পর গুটিগুলো ফেটে রস ঝড়তে থাকে। ফলে ফেটে যাওয়া স্থানেই ক্ষত সৃষ্টি হয়ে গরুর শরীরে প্রচন্ড জ্বর এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে নাক ও মুখ দিয়ে লালা বের হয়। এ রোগের প্রতিষেধক না থাকায় আক্রান্ত গবাদি পশুকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট অথবা প্রতিদিন দুই চা চামুচ খাবার সোডা দেয়া হচ্ছে এবং হোমিও, কবিরাজী চিকিৎসা না নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে খামারী ও কৃষকদের। এ অবস্থায় গবাদী পশুর চিকিৎসার সুবিধার্থে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ শুক্রবার ও শনিবার খোলা রাখা হয়েছে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/জুলাই/২২/২৩