।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
দিনের পর দিন যেন মুখ থুবরে পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। কতিপয় শিক্ষকদের অবহেলায় আর অনিয়মের কারনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান হচ্ছে ব্যহত। ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজির না হলেও সকল সুবিধা ভোগ করে আসছেন কিছু শিক্ষক। অজ্ঞাত কারণে নিরব থাকছে কর্তৃপক্ষ। চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) মোছাঃ জিনাত আরা এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধেও উঠছে এমন অভিযোগ। মাসের পর মাস কলেজ না এসেও নিয়েছেন সকল সুবিধা ও বেতন ভাতা। এমনকি উক্ত প্রভাষক না এসে স্বামীকে পাঠিয়ে হাজিরা খাতায় কয়েক মাসের সই করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ পেলে অবশেষে ৭-মে/২৩ থেকে নিয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটি।
জানা গেছে, চিলমারীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদানসহ শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। শিক্ষকরা সঠিক ভাবে সময় ও নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে না যাওয়া, ক্লাস ফাঁকি দেয়া, প্রাইভেট ও কোচিংএ সময় বেশি দেয়ার কারণে দিন দিন প্রতিষ্ঠানের পাঠদান হচ্ছে ব্যাহত, ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এমনি অভিযোগ উঠেছে চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের কয়েকজন শিক্ষক (প্রভাষক) এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠছে কয়েক মাস থেকে কলেজে না এসেও চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) মোছাঃ জিনাত আরা বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত কলেজ আসেন না এবং ক্লাস না নেয়ার কারণে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরাও। অভিযোগ উঠেছে প্রভাষক জিনাত আরা অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মের সাথে সকল সুবিধা ভোগ করে আসলেও নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা।
কলেজের অফিস সহায়ক ফুলমিয়া, আসাদুজ্জামান এর তথ্য মতে উক্ত প্রভাষক (শিক্ষিকা) টানা প্রায় ৪/৫ মাস কলেজ না এসে তার স্বামীকে পাঠিয়ে প্রায় সব স্বাক্ষর একদিনে করিছেন হাজিরা খাতায়। তার পরিবর্তে স্বামী স্বাক্ষর করলো আর তিনি মাসের পর মাস না এসে বেতন-ভাতাসহ সকল সুবিধা নিচ্ছেন। কিন্তু কেন তার বিরুদ্ধে ভারঃ অধ্যক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা, জানালেন কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি সহ-অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ।
প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) মাছুমা আক্তার বলেন, জিনাত আরা বেশ কয়েক মাস থেকে কলেজে আসেন না এটি সত্য, তাই মাঝে মাঝে ওনার ক্লাস গুলো আমাকে নিতে হয়, তবে ওনার পরিবর্তে তার স্বামী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছে সেটি শুনেছি।
অভিযুক্ত প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) মোছাঃ জিনাত আরা মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। তবে পরে জিনার আরার স্বামী ফোন করে উগ্র আচরণ করেন।
এব্যাপারে কোন উত্তর না দিলেও ভারঃ অধ্যক্ষ জীতেন্দ্র নাথ বর্ম্মন বলেন, কিছু শিক্ষক নিয়মিত আসেন না এটি সত্য, তবে দ্রুত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, কয়েকদিন আগে কলেজের সভাপতি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ স্যার কলেজে এসেছিলেন সেদিনও বেশ কয়েকজন অনুপস্থিত ছিলেন, স্যার হাজিরা খাতাও নিয়ে গেছেন।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/০৮/২৩