।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
বছরে পর বছর থেকে ভোগান্তি আর দুর্ভোগে প্রায় ৩শতাধিক ব্যবসায়ীসহ লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজারের সড়কটি বেহাল দশায় দুর্ভোগে জনগন। কাজেও আসছে না থানাহাট বাজারে সদ্য নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থাটিও। পরিকল্পনার অভাব সাথে ড্রেন নির্মাণে দুর্নীতি আর অনিময়ের ফলে বাড়ছে ভোগান্তি। পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও তা এখন বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরিকল্পিত ও অনিয়মের মধ্যে দিয়ে এলজিইডি’র অধিনে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজে আসছেনা জনকল্যানে। এছাড়াও সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না করায় গর্তের সৃষ্টি সাথে কাঁদা, পানির জমে হয়েছে দুর্ভোগের বড় কারন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজে না আসা এবং সড়কের বেহাল দশার কারনে প্রায় ৩শতাধিক ব্যবসায়ীসহ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলায় প্রাণ কেন্দ্রে সদর থানাহাট বাজার এখন ভোগান্তি আর দুর্ভোগের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। পদে পদে পরিনত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। আর এর প্রধান কারন হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সড়কের বেহাল দশা। সদ্য কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য নতুন করে ড্রেন নির্মান করা হলেও তা কাজে আসছেনা। পরিকল্পনার অভাব সাথে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা গুলো কাঁদা ও পানিতে একাকার হয়ে যায় অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
শুধু তাই নয় ড্রেন নির্মাণের পর পরের নজর দারির অভাবে ড্রেন গুলো কতিপয় ব্যবসায়ী দখল করায় চলাচলের বিঘ্নসৃষ্টি হয়েছে পথচারীদের। অপরিকল্পিত ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে তৈরি এই ড্রেন পানি নিস্কাশনের জন্য তৈরি করা হলেও পানি নিস্কাশনের বদলে ড্রেনে পানি জমে মশা, মাছির উপদ্রবসহ জনগনের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পানি নেমে না যাওয়ায় চলাচলের বেহাল সড়কে পানি জমে যাতাযাতের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীসহ জনসাধারনকে। কাদা পানি জমে থাকায় সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে প্রায় সময় উল্টে যাচ্ছে অটো, রিস্কাসহ বিভিন্ন যানবাহন।
হানজালা, সুজন, মহব্বত আলীসহ অনেকে বলেন, একে তো সড়কে অবস্থা করুন তার উপর নিয়ম মেনে ড্রেন তৈরি করা হয়নি। তারা আরো জানান, ড্রেনের কাজের মান নিয়ে বাঁধা দিতে গেলেও সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন নির্মাণ এবং রাস্তায় চেয়ে ড্রেন উঁচু হওয়া এবং রাস্তার পানি ড্রেনে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে থাকে এবং ড্রেন ছোট হওয়ায় দ্রুত পানিতে ভরে যায়। শুধু তাই নয় বছরের পর বছর থেকে বাজারের প্রধান সড়কটির বেহাল দশা থাকলেও নেয়া হয়নি কোন মেরামতের উদ্যোগ ফলে প্রধান সড়কে হাজার, হাজার গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এবং কাঁদা, মাটি, পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ী, পথচারী, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সকল পেশার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
অটো, ভ্যান চালকরা বলেন, বাজারে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে ভয় লাগে, কখন যেন উল্টে যায়, গর্তের কারনে প্রায় সময় ভেঙ্গে যাচ্ছে চাকার ব্যায়ারিং।
কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জনদুর্ভোগ দুর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে সচেতন মহল মন্তব্য করে বলেন, এ হাটবাজার উন্নয়নের লাখ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হলেও রহস্যজনক কারণে কাজ করছেন না কর্তৃপক্ষ।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/০২/২৩