।। নিউজ ডেস্ক ।।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটে) স্নাতকোত্তরের (মাস্টার্স) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন চিলমারীর জান্নাতুল ফেরদৌসী ইতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন এবং শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী ইতি।
জানা যায়, চিলমারীর রমনা মডেল ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের জোরগাছ বাজার এলাকার মো. চাঁন মিয়া ও কাজল বেগমের মেয়ে। ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে জিপিএ ৪.৫৮ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৬-২০১৭ সেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গণিত বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। সিজিপিএ ৩.৯৩ পয়েন্ট নিয়ে অনার্স পাস করেন। বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে একই বিভাগে মাস্টার্সে পড়ছেন।
এর আগে শনিবার (২৪ জুন) বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে ইতির প্রথম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার আবেদন ক্রমিক নম্বর ৯০০৭৯।
ভর্তি পরীক্ষায় এমন সাফল্যের বিষয়ে ইতি বলেন, ‘ফলের তালিকায় আমার নাম দেখে অবাক হয়েছি। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে দেখলাম নামটা আমারই। আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।’
‘অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার ইচ্ছে ছিল। সে অনুযায়ী এবার বুয়েটের গণিত বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিই। আল্লাহর রহমতে সুযোগ পেয়েছি। সেখানে ভর্তি হবো’, যোগ করেন ইতি।
তিনি আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও এখন তা বাতিল করে বুয়েটে ভর্তি হবো। আমার ইচ্ছে বিসিএস করে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করা। তবে ভবিষ্যতে গবেষণা করার সুযোগ পেলে তাও করবো।’
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক গণিত বিভাগের প্রধান মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ফল প্রকাশের পর ইতি ফোন করে সংবাদটি জানিয়েছেন। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে সিজিপিএ-৪ পাওয়ার পর আমরা তার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। অনার্সের ফাইনালেও ফল ভালো করেছে। তার সাফল্যে আমরা আনন্দিত।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এমন খবর অবশ্যই আনন্দের এবং গৌরবের। কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আমরা একদিন সাফল্যে ভরে উঠবো। ইতিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই।’