।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঈদ উল আযহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে হাট গুলো। প্রত্যেকটি হাটের পরিবেশ শান্ত ও নিরাপদ জেলা পুলিশের নির্দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে কুচক্রী মহল রোধে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর হাট পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার জনাব আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, সাথে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব এ. কে. এম. ওহিদুন্নবী, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জনাব এম আর সাঈদ।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার সকল থানা এলাকার বিভিন্ন হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম, জাল টাকা যাছাই মেশিন সহ ইজারাদার, ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট সার্কেল ও থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ।
জেলা পুলিশ জানায়, মানুষ হাটে এসে পশু ক্রয় করতে পারে সেই লক্ষ্যে জেলার প্রত্যেকটি পশুর হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন, কন্ট্রোলরুম স্থাপন, উচু ভবন থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মেটাল ডিটেকটর ব্যবহার, মাইকিং, জাল টাকার মেশিন দ্বারা অর্থ চেককরন সহ, চুরি ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি রোধে হাট, হাট সংলগ্ন এলাকা ও রাস্তায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার নিরাপত্তা ডিউটি তদারকির পাশাপাশি হাট কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথেনিয়ে হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যা ও নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেন পাশাপাশি হাটের জালনোট সনাক্ত করন বুথ পরিদর্শন করেন এবং হাটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রেরণা ও প্রেষণা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন ঈদকে সামনে রেখে কোন কুচক্রী মহল যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে তাকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য পশু ক্রেতাদের ১ কেজি পরিমান লবন বিতরণ করা হয়।