।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রাজারহাটে মাধ্যমিক কার্যালয়ে হতে চলতি বছরের ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা, ইসলাম ধর্ম ও চারুকলা বিষয়ের ৪৯৫টি পাঠ্যপুস্তক (বই) বিক্রিকালে জনতা ইজিবাইকসহ দুইজনকে আটক করে রাজারহাট থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পাঠ্যপুস্তক বিক্রির মুলহোতা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরী মঞ্জুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব বাদি দুইজনকে আসামি করে রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। ইজিবাইক চালক আসামি না হওয়া রাজারহাট থানা পুলিশ থাকে ছেড়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ফেরিওয়ালা মোস্তাক আহমেদ (৪৬) কে আদালতে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে গত বুধবার দুপুরে সিরাজউদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার হতে মৌলভী শিক্ষক সুলতান আলীর নেতৃত্বে ভ্যানগাড়ীতে ৬ বস্তা বই বিক্রির উদ্দেশ্য মাদ্রাসা থেকে বের হলে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয় ভ্যানচালক ফারুক। পরবর্তীতে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা এখনো কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী ২০২৩ সালের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা, ইসলাম ধর্ম ও চারুকলা বিষয়ে ৪৯৫টি বই কেজি দরে এক ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে। ফেরিওয়ালা ওই বই গুলো ইজিবাইকে নিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতা তাদের আটক করে।
খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৯৫টি বই জব্দ করে ফেরিওয়ালা ও ইজিবাইক চালক আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক ফেরিওয়ালা রাজারহাট উপজেলার মেকুরটারী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মোস্তাক আহমেদ (৪৬) ও ইজিবাইক চালক একই এলাকার আঃ রহমানের ছেলে নয়ন (২৬)। ওই রাতেই রাজারহাট থানায় বই বিক্রেতা ও ক্রেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। রাতেই পুলিশ নয়ন (২৬) কে মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে আটক মোস্তাককে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ফেরিওয়ালা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, আমি অশিক্ষিত। লেখা পড়া জানি না। শিক্ষা অফিসের পরিচিত এক নাইটগার্ড আমার কাছে বই গুলো বিক্রি করেছে। আমি কিনে নিয়েছি।
রাজারহাট উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রব জানান, বুধবার(২১জুন) বিকাল ৫টায় রাজারহাট ফাজিল মাদরাসায় সংরিক্ষত কক্ষ থেকে আমাদের অফিসের নৈশ প্রহরী মঞ্জুরুল ইসলাম ৪৯৫টি বই অবৈধভাবে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে। রাতে আমি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। সিরাজউদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার বই কি কারণে বের করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। আপাতত বই ঐ প্রতিষ্ঠানেই আছে। আমি বিক্রি হওয়ার খবর পাইনি। বিক্রি হলেতো মামলা হইতো।
বৃহস্পতিবার (২২জুন) রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বিষটি নিশ্চিত করে বলেন ৩৪ দন্ডবিধির ,৪৬২,৩৮০ ও ৪১১ ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে।মামলা নং১৭/২২-০৬-২৩। আটক ফেরিওয়ালাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
//নিউজ//রাজারহাট//এনামুল/জুন/২২/২৩