।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে স্কুলসহ বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। গত কয়েক দিনের ভাঙনে স্থানীয়দের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। এতে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার।
তীব্র ভাঙনে উপজেলার পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রাতের আঁধারে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে ওই এলাকার ১০-১২টি বাড়ি নদীতে চলে গেছে।
সীমান্তবর্তী পশ্চিম বজরা গ্রামে তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছেন ইছব আলীসহ একই গ্রামের শহিদুর মিয়া (৫৮), নুরনবী (৫৫) ও লাভলী বেগমের (৪৫)। তারা বলেন- এখন মানুষের জায়গায় কোনো রকম ঘর তুলি আছি। ভাঙতে ভাঙতে নদী ওখানেও চলে আসছে।’
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে রক্ষা পায়নি বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট, রসুলপুরসহ আশপাশ এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি ও কয়েক শত হেক্টর ফসলি জমি।
এ সময় শহিদুর মিয়া বলেন, বাড়ির অর্ধেক ভেঙে গেছে। বাঁশ ও নারিকেলের গাছ কেটে দিয়ে কোনো রকম ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে। বাকি অর্ধেক ভেঙে গেলে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিম, আরিফ, রুহান ও সাদিয়া বলেন- স্কুলটি আমাদের বাড়ির কাছে হওয়ায় নিয়মিত যাইতে পারতাম। কিন্তু সেটি নদীতে ভেঙে গেল। এখন যে কোথায় নিয়ে যায়, কতদিন পর স্কুলে যেতে পারব তা বলা যাচ্ছে না। আমরা তো আর ঠিকভাবে পড়ালেখা করতে পারব না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমীর হোসেন বলেন, তিস্তার ভাঙনে পশ্চিম বজরা বিদ্যালয়টি নদীতে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত অন্য জায়গায় বিদ্যালয়টি স্থাপন করে লেখা-পড়া করানো হবে। তবে বেগম নুরুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর সন্তোষ অভিরাম স্কুল ভাঙন থেকে রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার(২০ জুন) বিকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উলিপুরের পশ্চিম বজরা এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
//নিউজ//উলিপুর//জাহিদ/জুন/২০/২৩