।। নিউজ ডেস্ক ।।
নাগেশ্বরীতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সব নদ-নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন। নদী গর্ভে চলে গেছে ৫ টি ঘরবাড়ি। ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে অনেক পরিবার। ঝুঁকিতে আরো অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) গভীর রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রায়ই ভরে গেছে খাল-বিল, জলাশয় ও ছোট ছোট শাখা নদী। বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি। বাড়ছে গঙ্গাধর ও শংকোষ নদীর পানি। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে যে কোন সময় তা নদ-নদীর দুকুল ছাপিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টা বৃষ্টির প্রবণতা আরো বাড়বে।
এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে বেশকিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে গঙ্গাধর নদীর ভাঙনে গত তিন দিনে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের মাঝিপাড়ায় ভেঙ্গেছে সুফিয়া বেগম, আব্দুল লতিফ, অনিল দাস, অনন্ত সরকার, জোনাকীর বাড়ি। প্রায়ই ভাঙতে ভাঙতে সরিয়ে নিয়েছেন শৈলেন্দ্র, খগেন্দ্র নাথ, কাউয়া দাস, বিশ্নাবথ, রাখাল দাস, মোক্তার আলী, আবুল, শুকুর আলী, হানিফ, বুলুরাম, বাবু, সৈফুর, হয়দার আলীর বসতবাড়ি। হুমকিতে রয়েছে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড এর তথ্যানুযায়ী সোমবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আগামী ২২-২৩ তারিখ নাগাদ ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
//নিউজ/নাগেশ্বরী//বিল্টু/জুন/২০/২৩