।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ঘোষণার অর্ধযুগ শুরু হয়নি চিলমারী নদী বন্দরের দৃশ্যমান কার্যক্রম। নদী বন্দরের কার্যক্রম দ্রুত চালুসহ চলতি মৌসুমে রমনা নদী বন্দর থেকে দ্রুত ফেরি চলাচলের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্লে-কার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন পেশাজেবী মানুষ।
২০১৬ সালে ৭সেপ্টেম্বর তারিখে চিলমারী নদী বন্দর পুনঃচালুর ঘোষনা দেয়া হলেও অদ্যাবধি বন্দরের কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নদী বন্দরের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরুর দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার রমনা ঘাট এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার জনতা। রাস্তায় দুই ধারে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন, দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ জাতীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার সরকার, সমাজ সেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম হায়দার, যুবলীগ নেতা রেজাউল কবির খুসু, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আকসেদ বেলাল, ঠিকাদার ও সমাজ সেবক শহিদুল্লাহ কায়ছার ইমু, সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া, মাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নদী বন্দরের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও চিলমারী-রৌমারী নৌ-পথে ফেরি চলাচল শুরুর দাবী জানিয়ে বক্তারা জানান, বন্দর চালু হলে বিভিন্ন দেশের সাথে নদী পথে যোগাযোগ উন্নত হওয়াসহ নৌ-পথে পণ্য আনা-নেয়ায় খরচ কমে যাবে। সেই সাথে দেশের সীমান্তবর্তি অবহেলিত এ জেলায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল শুরু হলে রাজধানী ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের দুরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। বন্দরের কাজ দ্রুত বাস্তাবায়ন এবং ফেরি চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন বক্তারা।
তারা আরো বলেন, ফেরিটি রমনা ঘাট নদী বন্দর এলাকা থেকে চলাচল করলে সুবিধা পাবে সর্ব এলাকার মানুষজন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চিলমারী নদী বন্দরের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরুর দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুন/১৭/২৩