।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
মরণ ফাঁদের ব্রীজে বছরের পর বছর থেকে বাড়ছে ভোগান্তি। প্রায় ৩৬ বছর আগে নির্মিত ব্রীজটি আজ বেহাল দশার সাথে মৃত্যুকূপে পরিনত হলেও নেই করো নজর। আশ্বাস পর আশ্বাস কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। লক্ষ লক্ষ মানুষে দুর্ভোগ, যানবাহন চালকরা রয়েছে ভোগান্তিতে। ঝুঁকি নিয়েই বছরের পর বছর থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ করছে চলাচল। কবে নির্মিত হবে নতুন ব্রীজ, কবে দুর হবে লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ আশায় আশায় দিন পার করছে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, উন্নয়ন ধারা এগিয়ে গেলেও এগিয়ে যেন যাচ্ছেনা চিলমারী। খানাখন্দক সড়ক সাথে ব্রীজ যখন মরদ ফাঁদ। বালবাড়ি হাট প্রধান সড়ক থেকে সাদুল্লাহ, বজরাগামি সড়কে বাড়াবাড়িহাট এলাকায় খালের উপর প্রায় ৩৬ বছর আগে নির্মিত হয় একটি ব্রীজ। ব্রীজটি কয়েক বছর আগেই পরিনত হয় মৃত্যু ফাঁদে। সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইতি মধ্যে ধসে গেছে। দেয়া হচ্ছে আশ্বাস নির্মিত হবে নতুন করে ব্রীজ। আশ্বাস দেয়া হলেও কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর কিন্তু প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের কমছে না ভোগান্তি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন ও মানুষজন। প্রয়োজন থাকলেও ভাড়ি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে ব্যবসায়ী, ভাটা মালিকসহ এলাকাবাসী।
ব্রীজের কাছে এলেই বড় ডর করে মন্তব্য করে অটো, ভ্যান, মাইক্রোবাস চালকরা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে কিন্তু এই ব্রীজের সামনে এলেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায় আর মনে হয় এই পড়ে গেলাম।
এলাকার গোলাম মাহববুব বিল্পব বলেন, কিশামতবানু, দাফাদারপাড়া, নালারপাড়, হাজিপাড়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে, প্রায় ৫ বছর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ায় দিনদিন ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি আরো জানান, এছাড়াও প্রায়দিন ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ ও মৃত্যু ফাঁদ স্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
আশ্বাস দেয়া হচ্ছে কয়েক বছর থেকে কিন্তু আমাদের কষ্ট আর দুভোর্গ দুর করার চেষ্টা কেউ করছেনা বললেন এলাকার মাজেদা। উন্নয়ন হচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু হামার চিলমারী মনে হয় থমকে আছে মন্তব্য করে এলাকার কয়েকজন বলেন, প্রায় ৫/৭ বছর থেকে এই এলাকার চলাচলের একমাত্র ব্রীজটি মরন ফাঁদে পরিনত হলেও কারো যেন নজর নাই।
তারা আরো বলেন, এর আগে ত্রাণ শাখা থেকে একটি ব্রীজ করার কথা ছিল কিন্তু এলজিইডি করতে দিলনা তারাও করছেনা। দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণসহ ভাগান্তি থেকে রক্ষা চান তারা।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজুর রহমান বলেন, দ্রুত এর সমাধান হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুন/১৭/২৩