।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
প্রতিবারের মতোই এবারেও কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় অনিয়ম স্বজনপ্রীতি, ভাগবাটোয়ারা কারণে কতিপয় নামধারী কৃষক প্রণোদনার সার ও বীজ বাজারে বিক্রি করায় প্রকৃত কৃষকরা থেকে যাচ্ছে প্রণোদনার বাহিরে। বিতরণে অনিয়ম, তালিকায় দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য। অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে কতিপয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরাও জরিত বলেও জানা যায়। তবে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন অভিযুক্তরা।
জানা গেছে, চিলমারীর ৬টি ইউনিয়নের ১হাজার ৫০, জন কৃষকের জন্য রোপা আমন বীজ ও সার এর প্রণোদনা দেয়া হয়। এর মধ্যে থানাহাটে ২৩০, রানীগঞ্জে ২২০, রমনা মডেলে ২১০, নয়ারহাটে ১৩০, অষ্টমীরচরে ১৬০ এবং চিলমারী ইউনিয়নে ১০০ জন কৃষকের জন্য বিঘা ও জনপ্রতি ৫ কেজি রোপা আমন বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ আসামাত্র তরিঘরি এবং পূর্বে তৈরি করা কিছু তালিকা মিল রেখে তালিকা করা হয়। তালিকায় নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়। কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিজেদের লাভের জন্য তালিকা করতে নেয় অনিয়মের আশ্রয় সাথে স্বজনপ্রীতি। অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।
বেশকিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন, বিএস (উপ-সহকারী কৃষি অফিসার) সাথে কিছু মেম্বার, চেয়ারম্যান নিজেদের লাভের জন্য জমি নাই, বা চাষ করে না এমন কিছু নামধারী কৃষকদের সুবিধা দিয়ে নিজেরাও লুটছেন ফায়দা। তারা আরো বলেন, নামধারী কৃষকরা বীজ আর সার তুলেই ভাগাভাগি করে তা সাথে সাথে বাজারে বিক্রি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, কৃষি অফিসের এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ভাগ না দিলে নাম দিতে চায়না, তাই বাধ্য হয়ে চুক্তি করতে হয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেও হয়।
কিছু অনিয়ম হতে পারে স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, তালিকা করেছে বিএস (উপ-সহকারী কর্মকর্তারা) আমি শুধু বিভাজন করে দিয়েছি।
অনিয়ম ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি জানিয়ে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আপনারা তো সব বোঝেন যে কোন বিষয় তালিকা করতে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে বিভিন্ন সুপারিশ তো আছে।
নাম না জানা শর্তে কৃষি অফিসের ২জন উপ-সহকারী বলেন, কিছু সময় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন চাপে তালিকা করতে নামধারী কিছু কৃষকের নাম উঠাতে হয়। তবে উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ফোনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ নুর আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি রংপুরে আছি আপনারা স্যারের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিব করেননি।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুন/০২/২৩